সীমান্ত থেকে কি সত্যিই সেনা সরাবে চিন? উদ্বেগ প্রকাশ বিদেশমন্ত্রীর

বছর খানেক আগেই গালোয়ানে ভারত-চিন সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন জওয়ান। এক বছর পেরিয়েও কমছে না উদ্বেগ।

সীমান্ত থেকে কি সত্যিই সেনা সরাবে চিন? উদ্বেগ প্রকাশ বিদেশমন্ত্রীর
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 23, 2021 | 10:07 AM

নয়া দিল্লি: গালোয়ানে ভারত-চিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এক বছর কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যে লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর বার্তা দিয়েছে বেজিং। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেও আদৌ কি সেনা সরাচ্ছে চিন? তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। সম্প্রতি কাতারে অনুষ্ঠিত ইকনমিক ফোরামে উপস্থত হয়ে এই মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রী।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দুই দেশই অধিক সংখ্যক মোতায়েন না করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু চিন তাদের দেওয়া কথা রাখছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তিনি জানিয়েছেন, লাদাখের একেবারে কাছে এখনও সেনা মোতায়েন করে রেখেছে চিন। চিনের এই প্রবণতাই দুই দেশের সম্পর্কের মুখে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

লাদাখে শান্তি ফেরাতে সীমান্তে বাফার জোন তৈরি করা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল ভারত ও চিনের মধ্যে। সেই বাফার জোন কোন এলাকাকে করা হবে তা নিয়েও চুপ চিন। উল্লেখ্য, বাফার জোনের মধ্যে থাকা এলাকাটিকে অলিখিত ভাবে দুই দেশই নিজেদের নিয়ন্ত্রণরেখা হিসেবে মেনে নেবে। তা সেই বিষয়েও আর কোনও অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না চিনের তরফে।

আরও পড়ুন: ভারতে ‘উদ্বেগের কারণ’ ডেল্টা প্লাস, স্বাস্থ্য মন্ত্রক জারি করল বিশেষ নির্দেশিকা

অন্য দিকে, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতও সম্প্রতি বলেন, ‘সীমান্তে সেনার অবস্থান বদল করেছে চিন।’ তাঁর দাবি, ২০২০ সালের মে ও জুন মাসে গালোয়ান উপত্যকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হওয়া সংঘর্ষের জেরে পদ্ধতিতে রদবদল করেছে তারা। চিন বুঝতে পেরেছে যে পাহাড়ি এলাকায় লড়াইয়ের জন্য তাদের সৈনিকদের প্রশিক্ষণ নেই। তিব্বতের পাহাড়ি এলাকায় লড়াই করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ভারতীয় জওয়ানরা পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধ করতে পারদর্শী।