ভারতীয় সেনার উপর লাগাতার পাথরবৃষ্টি করেছিল লাল ফৌজ, ১ বছর বাদে সামনে এল গালওয়ান সংঘর্ষের ভিডিয়ো
সোমবার একটি চিনা অনলাইন মাধ্যমে গতবছরের ওই সংঘর্ষের ফুটেজ প্রকাশ করা হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে চিনা সৈন্যরা গালওয়ান নদী উপত্য়কায় উচু অংশ থেকে ভারতীয় সেনদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে।
নয়া দিল্লি: দীর্ঘ তিন মাসের বিরতির পর গত সপ্তাহেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে দুই দেশের মধ্যে সমস্যা নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও চিন। সোমবারই দুই দেশের তরফে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, পূর্ব লাদাখে শান্তি বজায় রাখতে আগ্রহী দুই দেশই। সেই দিনেই চিনের তরফে প্রকাশ করা হল গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষের ভিডিয়ো।
গত বছর ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের জওয়ানদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। ভারতেের ২০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয় এই সংঘর্ষে। অন্যদিকে, চিনের তরফে প্রথমে অস্বীকার করা হলেও পরে তাদের জওয়ানদের মৃত্যুর কথাও স্বীকার করে নেয়। এ দিকে, গালওয়ান সংঘর্ষের পরই দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিবাদ চরম আকার নেয়।
সোমবার একটি চিনা অনলাইন মাধ্যমে গতবছরের ওই সংঘর্ষের ফুটেজ প্রকাশ করা হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে চিনা সৈন্যরা গালওয়ান নদী উপত্য়কায় উচু অংশ থেকে ভারতীয় সেনদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে। ভিডিয়োর একটি অংশে দেখা যায়, খরস্রোতা গালওয়ান নদীতেও ভেসে যাচ্ছে লাল ফৌজের কিছু সৈন্য। গতবছরের সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল, যা ১৯৬২ সালে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের পর সবথেকে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছিল।
Excerpts from a video interview of a PLA martyrs family shows footage of the #Galwanvalley clash between #India & #China, the stone pelting, close combat fighting, conditions of soldiers in the river & Chinese equipment on site well documented in these 45 seconds pic.twitter.com/4pk60K28jp
— d-atis☠️ (@detresfa_) August 2, 2021
শনিবারের ১২ তম সেনা কম্যান্ডার স্তরীয় বৈঠকে লাদাখের গুরুত্বপূর্ণ সংঘর্ষস্থল গোগরা, হট স্প্রিং ও দেপস্যাং থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, গোগরা থেকে সেনা সরতে রাজি হলেও চিন এখনই হট স্প্রিং থেকে সরতে নারাজ। তাদের দাবি, হট স্প্রিং এলাকায় যেখানে তাঁদের সেনাবাহিনী রয়েছে, তা চিনের সীমান্তের মধ্যেই।
চুসুল-মল্ডো সীমান্তে হওয়া এই বৈঠকে দুই দেশের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আগামী দিন দুয়েকের মধ্যেই সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। বৈঠক নিয়ে সোমবার যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করা হয় দুই দেশের তরফে। দুই দেশের তরফেই জানানো হয়েছে, বৈঠকে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। লাদাখে শান্তি বজায় রাখতে ভারত ও চিন দুই দেশই সচেষ্ট থাকবে। আরও পড়ুন: ৮ রাজ্যের উর্ধ্বমুখী ‘আর-ফ্যাক্টরে’ বিপাকে কেন্দ্র, চিন্তা বাড়াচ্ছে বাংলার সংক্রমণও!