আরজি করের ঢেউ? ‘মহিলা চিকিৎসকরা যেন দৃষ্টি আকর্ষণ না করেন’, সতর্কবাণী সরকারি হাসপাতালে
Silchar Medical College & Hospital: নির্দেশিকায় বড় বড় ছাপার অক্ষরে বলা হয়েছে, "মহিলা চিকিৎসক, পড়ুয়া ও কর্মীদের ফাঁকা জায়গা, কম আলো বা কম জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলা উচিত। খুব প্রয়োজন না পড়লে রাতে পড়ুয়াদের হস্টেল বা রুম ছেড়ে না বের হওয়াই শ্রেয়। যদি একান্তই প্রয়োজন হয়, তবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তবেই যেন বের হন মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়া ও কর্মীরা।"
গুয়াহাটি: আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন আন্দোলনে নামছেন চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ, সেখানেই মহিলা চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের জন্য অদ্ভুত নির্দেশিকা জারি করল আরেক সরকারি হাসপাতাল। মহিলা চিকিৎসকদের বলা হল, এমন পরিস্থিতি এড়াতে যেখানে তাদের একা থাকতে হয়। যাতে কারোর কু-দৃষ্টি আকর্ষণ না হয়, তার জন্য শালীন আচরণও করতে বলা হয়েছে মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়াদের! যদিও বিতর্কের মুখে পড়ে ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশিকাটি দিয়েছে অসমের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। আরজি কর কাণ্ডের পরই ওই সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নির্দেশিকা জারি করে মহিলা চিকিৎসকদের বলা হয়েছে, “একা থাকতে হবে, এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন”। একইসঙ্গে মহিলা চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের আরও বলা হয়েছে, “জনগণের (পড়ুন রোগী ও তার পরিবার) সঙ্গে মার্জিতভাবে আচরণ করুন যাতে ‘নীতিহীন’ মানুষদের কুদৃষ্টি না পড়ে।”
নির্দেশিকায় বড় বড় ছাপার অক্ষরে বলা হয়েছে, “মহিলা চিকিৎসক, পড়ুয়া ও কর্মীদের ফাঁকা জায়গা, কম আলো বা কম জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলা উচিত। খুব প্রয়োজন না পড়লে রাতে পড়ুয়াদের হস্টেল বা রুম ছেড়ে না বের হওয়াই শ্রেয়। যদি একান্তই প্রয়োজন হয়, তবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তবেই যেন বের হন মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়া ও কর্মীরা।”
Amongst this crisis and outrage Silchar Medical college issues guidelines to ‘behave’ for female medical students/doctors/nurses🤡 This includes- 1. Avoiding isolated,poorly lit areas. 2. Avoiding situations where they are alone. 3. Not leaving hostels during night hours. 4 While… pic.twitter.com/WqnJzI5Oy9
— purpleready (@epicnephrin_e) August 13, 2024
মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়া ও কর্মীদের মঙ্গল কামনা করেই এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নির্দেশিকার ছবি ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়। এই নির্দেশিকাকে ‘মিসোজিনিস্টিক’ বলেছেন নেটাগরিকরা। মহিলাদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত, তাদের কী করা উচিত আর কী উচিত নয়, তা নির্ধারণ না করে বরং মহিলাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা উচিত-এমনটাই বলেছেন সকলে।
জুনিয়র ডক্টরস’ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই নির্দেশিকার প্রতিবাদ করা হয়েছে। বরং তারা ক্যাম্পাসে লাইট লাগানো, চিকিৎসকদের রুমে নিরাপত্তার ব্যবস্থা এবং গোটা হাসপাতালে সিসিটিভি ক্য়ামেরা বসানোর দাবি জানানো হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই দাবিগুলি পূরণ করতে বলা হয়েছে।