Murder Case: জেল-জামিন-জীবন! অমিতের জেদের কাছে হার মানল সবাই, আপনি কী বলেন!
Murder Case: ওই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মীর মৃত্য়ু হয়। আরও একজন পুলিশ কর্মী গুরুতরভাবে আহত হন। ঘটনায় মোট ১৭ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তালিকায় ছিলেন অমিতও। পড়ছিলেন স্নাতকে। যদিও শুরু থেকেই তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে আসছিলেন।
উত্তর প্রদেশ: অভিযোগ ছিল তাঁর হাতেই খুন হয়েছেন এক পুলিশ কর্মী। আদালতে মামলা চলার সময় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েন চলে। জেলেও যান অভিযুক্ত যুবক। কিন্তু, ২ বছরের মাথায় জামিন পেতেই শুরু করেন আইন নিয়ে পড়াশোনা। পড়াশোনার পাঠ শেষ করে নিজেই লড়েন নিজের মামলা। শেষ পর্যন্ত আসে জয়। নিজে নির্দোষ প্রমাণ করতে সক্ষম হন ওই যুবক। উত্তর প্রদেশের বাদপাতে বাড়ি অমিত চৌধুরীর। যে সময় ঘটনাটি ঘটেছিল সেই সময় তিনি সদ্য ১৮ বছরের গণ্ডি পেরিয়েছে। সূত্রের খবর, ২০১১ সালে ওই সময় তিনি এক আত্মীয়র বাড়িতে এসেছিলেন। সেখানেই দুই পুলিশ কর্মীর উপর আক্রমণের অভিযোগ ওঠে।
ওই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মীর মৃত্য়ু হয়। আরও একজন পুলিশ কর্মী গুরুতরভাবে আহত হন। ঘটনায় মোট ১৭ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তালিকায় ছিলেন অমিতও। পড়ছিলেন স্নাতকে। যদিও শুরু থেকেই তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাঁর যুক্তি ধোপে টেকেনি। মাঝপথেই থেমে যায় তাঁর পড়াশোনা। ঠাঁই হয় জেলে। ২ বছরের মাথায় জামিনে মুক্ত হতেই নতুন করে লড়াই শুরু করেন অমিত। হাতিয়ার করেন পড়াশোনাকেই।
জেল থেকে বেরিয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে দেন ওই যুবক। নিজেই লড়েন নিজের মামলা। শেষে তাঁর যুক্তিতেই সায় দেয় আদালত। বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত। বর্তমানে তাঁর মতো যে সমস্ত নির্দোষ মানুষ বিনা অপরাধে জেলের ঘানি টানছেন তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন অমিত। লড়তে চাইছেন তাঁদের মামলা। এর জন্য তিনি কোনও পারিশ্রমিকও নেবেন না বলে জানিয়েছেন।