AIADMK Clash: পনিরসেলভমকে দল থেকে বহিষ্কার করল পালানিস্বামীর এআইএডিএমকে

AIADMK: এদিনের বৈঠকে ২ হাজার ৫০০ সদস্যের জেনারেল কাউন্সির দ্বৈত নেতৃত্ব পদ্ধতি অবলুপ্তি ঘটিয়ে একক নেতৃত্বের ওপরই আস্থা রেখেছেন।

AIADMK Clash: পনিরসেলভমকে দল থেকে বহিষ্কার করল পালানিস্বামীর এআইএডিএমকে
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2022 | 1:58 PM

চেন্নাই: দল পরিচালনা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল এআইএডিএমকের দুই শীর্ষনেতা ও পনিরসেলভম এবং ই পালানিস্বামীর মধ্যে দ্বৈরথ চলছিল। দলের ভবিষ্যত নেতৃত্ব নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে জল আদালত অবধি পৌঁছেছিল। দলীর ভবিষ্যত নেতৃত্ব ঠিক করতে জেনারেল কাউন্সিল বৈঠক ডেকেছিল পালানিস্বামী শিবির অন্যদিকে বৈঠকের বিরোধিতা করে মাদ্রাজ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পনিরসেলভমরা। সোমবার আদালতে রায়ে সবুজ সংকেত পেতে সকাল ৯টা ১৫ নাগাদ দলীয় বৈঠকে শুরু হয় এবং অন্তর্বর্তীকালীন সাধারণ সম্পাদকরূপে নির্বাচিত হয়েছেন পালানিস্বামী। বৈঠক শেষে পনিরসেলভমকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পালানিস্বামীর এআইএডিএমকে।

এদিনের বৈঠকে ২ হাজার ৫০০ সদস্যের জেনারেল কাউন্সির দ্বৈত নেতৃত্ব পদ্ধতি অবলুপ্তি ঘটিয়ে একক নেতৃত্বের ওপরই আস্থা রেখেছেন। এবং পালানিস্বামী সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেতেই পনিরসেলভমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের তরফে সাধারণ পরিষদের সভায় বলা হয়েছে যে পনিরসেলভম এবং পালানিস্বামীর দ্বারা তৈরি হওয়া যৌথ নেতৃত্ব মডেল বাতিল করার সময় দলীয় ক্যাডারদের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা হয়েছিল। দ্বৈত নেতৃত্বে ৩ টি নির্বাচনে বিপর্যয়ের মুখ দেখে এআইডিএমকে।

এদিনের বৈঠকে প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান এ তামিল মাহান হুসেন সভাপতিত্ব করেছিলেন। এদিনের বৈঠকে স্থগিতাদেশ চেয়ে মাদ্রাজ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পনিরসেলভম শিবির। তবে আদালত বৈঠকের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি। এদিনের বৈঠকে ৪ মাসের মধ্যে সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে বেশকিছু দলীয় আইন সংশোধনও করা হয়েছে, যাঁর মধ্যে দলের শীর্ষ পদের জন্য নির্বাচন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ নেওয়ার ১০ বছর পরই কোনও ব্যক্তি সাংগঠনিক নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন।

এদিনের বৈঠক সংলগ্ন এলাকায় লাগানো দলীয় পোস্টারে পনিরসেলভমের কোনও ছবি ছিল না, যা থেকে মনে করা হচ্ছে, তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত পূর্ব নির্ধারিত ছিল। দলীয় পোস্টারে এমজিআর, পালানিস্বামী এবং জয়ললিতার পোস্টার চোখে পড়েছে। বৈঠক শুরু আগে পনির ও পালানিস্বামী সমর্থকদের মধ্য হাতাহাতি হয় এমনকী পাথর ছোড়াছুড়িও হয়েছে। এমনকী দলীয় কার্যালয়ের বাইরে থাকা গাড়িগুলির ভাঙচুর করা হয়েছিল।