Free Booster Dose: ৭৫ দিনের টিকা উৎসব কেন্দ্রের, বিনামূল্যে সবাই পাবে বুস্টার ডোজ!
১৫ জুলাই থেকে পরবর্তী ৭৫ দিনের জন্য প্রাপ্ত বয়স্ক সকল ভারতীয় নাগরিককে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। বুধবার (১৩ জুলাই) ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
নয়া দিল্লি: ১৮ বছরের বেশি বয়সী, অর্থাৎ প্রাপ্ত বয়স্ক সকল ভারতীয় নাগরিক বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টিকার বুস্টার ডোজ পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ১৫ জুলাই থেকে পরবর্তী ৭৫ দিনের জন্য এই সুবিধা দেওয়া হবে। বুধবার (১৩ জুলাই) এই বিরাট ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’, অর্থাৎ, স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষে এই সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। শুধুমাত্র সরকারি টিকা কেন্দ্রগুলিতেই এই বিমামূল্যে বুস্টার ডোজ নেওয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে। বর্তমানে শুধুমাত্র ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের সরকারি টিকাদান কেন্দ্রগুলি থেকে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়।
অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করছে। আজাদি কা অমৃত কাল উপলক্ষে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ১৫ জুলাই থেকে পরবর্তী ৭৫ দিন, ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।’ প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত বয়সের নাগরিকদের জন্যই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং সতর্কতামূলক ডোজের মধ্যে ব্যবধান নয় মাস থেকে কমিয়ে ছয় মাস করেছিল। অর্থাৎ, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই সতর্কতামূলক ডোজ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন’ বা এনটিএজিআই (NTAGI) এই বিষয়ে সুপারিশ করেছিল।
সরকারি সূত্র মতে, ভারতে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী প্রায় ৭৭ কোটি মানুষ আছেন। বর্তমানে এঁদের সতর্কতামূলক ডোজ মূল্য দিয়েই নিতে হয়। এখনও পর্যন্ত সেই জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশেরও কম বুস্টার ডোজ বা কোভিড-১৯ টিকার সতর্কতামূলক ডোজ নিয়েছেন। পাশাপাশি বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হচ্ছে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের। সংখ্যাটা আনুমানিক ১৬ কোটি। এই ১৬ কোটি মানুষের প্রায় ২৬ শতাংশ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এক সরকারি কর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় জনসংখ্যার অধিকাংশই নয় মাসেরও বেশি আগে তাদের দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় বলা হয়েছে, দুই ডোজের প্রাথমিক টিকাকরণের প্রায় ছয় মাস পর থেকে শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা কমতে থাকে। এরপর, একটি বুস্টার ডোজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ফের বাড়িয়ে দেয়। সরকার তাই ৭৫ দিনের জন্য এই বিশেষ টিকারকরণ অভিযান শুরু করছে।’
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ভারত প্রাপ্তবয়স্ক সকল নাগরিককে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশকে ইতিমধ্যেই কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। জনসংখ্যার ৮৭ শতাংশ পেয়ে গিয়েছেন দুটি ডোজই।