সব ভারতীয়দেরই ডিএনএ একই, যদি না তাঁরা গোমাংস খান: বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেত্রী সাধ্বী প্রাচী
"সব ভারতীয়র ডিএনএ এক যদি না তাঁরা গোমাংস খান।"
জয়পুর: কয়েকদিন আগেই আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত বলেছিলেন, ” ধর্ম নির্বিশেষে সব ভারতীয়র ডিএনএ এক।” এ বার সেখানেই ধর্মের বেড়াজাল টেনে দিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেত্রী সাধ্বী প্রাচী। শনিবার রাজস্থানে দাসুয়া জেলায় তিনি বলেন, “সব ভারতীয়র ডিএনএ এক যদি না তাঁরা গোমাংস খান।” অর্থাৎ গোমাংস ভক্ষণকারীদের সঙ্গে একটা বিভেদ তৈরির চেষ্টা করলেন তিনি। অন্তত এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরএসএস দ্বারা অনুপ্রাণিত মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সংঘ প্রধান। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, “একতা ছাড়া কোনও ভাবেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়নের স্তম্ভ অবশ্যই জাতীয়তাবাদ এবং পূর্ব পুরুষদের দেখানো পথ হওয়া উচিৎ।আমরা গণতন্ত্রে থাকি। এখানে হিন্দু বা মুসলমানের প্রাধান্য থাকতে পারে না। এখানে শুধুমাত্র ভারতীয়র প্রাধান্য চলে।”
আরএসএস প্রধানের এই মন্তব্যের পর তা নিয়ে কার্যত অন্য সুরে বার্তা এল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেত্রীর কাছ থেকে। এ ছাড়া দেশের ক্রমবর্ধ্বমান জনসংখ্যা নিয়েও বার্তা দেন সাধ্বী প্রাচী। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রের উচিত যাঁদের ২ সন্তানের বেশি, তাঁদের সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা উচিত। পাশাপাশি ‘লভ জিহাদ’ নিয়েও কড়া বার্তা দেন তিনি। উল্লেখ্য, অসমের পথে হেঁটেই এ বার উত্তর প্রদেশেও আসতে চলেছে জননিয়ন্ত্রণ আইন। শুক্রবারই খসড়া বিল প্রকাশ করে উত্তর প্রদেশ রাজ্য আইন কমিশন। খসড়া বিলের লক্ষনীয় অন্যতম দুটি বিষয় হল, যারা দুই সন্তান নীতি অনুসরণ করবেন, তাদের সরকারের তরফে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। অন্যদিকে, যাদের দুইয়ের অধিক সন্তান হবে, তারা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
আরও পড়ুন: কেরলে বাড়ছে করোনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বললেন, ‘এটাই আশা করেছিলাম’