কেরলে বাড়ছে করোনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বললেন, ‘এটাই আশা করেছিলাম’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ অবশ্য এই বৃদ্ধিকে উদ্বেগজনক বলতে নারাজ। তাঁর মতে, অধিক সন্দেহভাজনের পরীক্ষার অনুপাতে আক্রান্তের সংখ্যাটা কম। এটা অভিপ্রেতই ছিল।
তিরুবনন্তপুরম: দেশে যে রাজ্যগুলিতে অধিক করোনা (COVID 19) সংক্রমণ ধরা পড়ছে, তার মধ্যে একটি কেরল। দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের ৩০ শতাংশের ঠিকানা মহারাষ্ট্র ও কেরল। প্রথম ঢেউয়ের মতোই কেরলে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। তাই নয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। কারণ এর আগে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা করোনা সংক্রমণ রোখার জন্য পুরস্কৃত হয়েছিলেন। তাঁকে সম্মান জানিয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এ বার নয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ অবশ্য এই বৃদ্ধিকে উদ্বেগজনক বলতে নারাজ। তাঁর মতে, অধিক সন্দেহভাজনের পরীক্ষার অনুপাতে আক্রান্তের সংখ্যাটা কম। এটা অভিপ্রেতই ছিল। করোনা আক্রান্তের সংখ্যার এই বৃদ্ধিকে করোনা রোখার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ব্যক্ত করছেন তিনি। সেরো সার্ভের তথ্য দিয়ে তাঁর দাবি, প্রথম ঢেউয়ে যা ১১ শতাংশ ছিল তা এখন ২১ শতাংশ। অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ দ্রুত গড়ে উঠছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বীণা জর্জ জানিয়েছেন, কেরল দ্বিতীয় ঢেউয়ের পিক পেরিয়ে এসেছে। ১২ মে কেরলে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৩ হাজার। সেটাই পিক দ্বিতীয় ঢেউয়ের। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেরলে এখন পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশ। আক্রান্তদের সঠিক শনাক্তকরণের জন্যই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বীণা জর্জ। পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। যার মধ্যে একটি হল বয়স্কদের সংখ্যা। জাতীয় গড়ের তুলনায় সে রাজ্যে বয়স্কদের সংখ্যা বেশি। তাই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। তিনি জানান, একজন করোনা আক্রান্ত হলে তাঁর সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে খুঁজে বের করছে সে রাজ্যের সরকার। তাই আক্রান্তের সঠিক শনাক্তকরণ হচ্ছে সে রাজ্যে।