শপিং করতে গেলেও বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা, সংক্রমণে লাগাম দিতে নয়া নিয়ম বাণিজ্যনগরীতে
করোনা (COVID-19) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে উপসর্গহীন রোগীদের চিহ্নিত করতেই এই নয়া নিয়ম অনুসরণ করতে চলেছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (BMC)।
মুম্বই: করোনা সংক্রমণে সামাল দিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত রাজ্য সরকারের। গত বছরের শুরুতে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যা ছিল, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে তা সেই গণ্ডিও পার করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৪৩। এরমধ্যে মহারাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ৮৩৩ জন। বাণিজ্য নগরী মুম্বই(Mumbai)-তে একদিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতেই এবার সমস্ত শপিং মলে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা (Rapid antigen Test) বাধ্যতামূলক করেছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (BMC)।
দেশে সক্রিয় রোগীর মধ্যে ৬০ শতাংশই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহেই শপিং মল, হোটেল-রেস্তরাঁর মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে(Uddhav Thackeray)। সতর্ক করে বলেছিলেন, করোনাবিধি অনুসরণ না করা হলে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হবে। ইতিমধ্যেই নিয়মভঙ্গের দায়ে তালা লাগানো হয়েছে মুম্বইয়ের বিখ্যাত রেস্তরাঁয়। করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে আরও এক ধাপ এগিয়ে এবার থেকে মুম্বইয়ের সমস্ত শপিংমলে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।
বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অতিরিক্ত আধিকারিক সুরেশ কাকানি বলেন, “আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতে আক্রান্তের চিহ্নিতকরণ করতে আগামী ২২ মার্চ থেকে সমস্ত মলে সোয়াব নমুনা সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিটি মলের প্রবেশপথের সামনেই একটি নির্দিষ্ট দল থাকবে, যাঁরা মলে আগত ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করবে। বাকি কার্যপদ্ধতি নিয়ে আপাতত আলোচনা চলছে।”
শপিং মলে নমুনা সংগ্রহের কারণ হিসাবে তিনি জানান, উপসর্গহীন রোগীদের চিহ্নিত করা কঠিন কাজ। এরমধ্যে তাঁরা দি শপিং মলের মতো ভিড় জায়গায় আসেন, তবে দ্রুতগতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই কারণেই পুরসভাী কর্তৃপক্ষের তরফে স্থির করা হয়েছে, মলে ঢোকার আগে হয় তাঁদের করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে, নয়তো সোয়াব পরীক্ষা করাতে হবে।
লাগাতার সংক্রমণ বৃদ্ধিতে লকডাউনের ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। তবে বাণিজ্যনগরীতে আপাতত লকডাউন বা নাইট কার্ফুর বদলে যে জায়গাগুলিতে জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেখানে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেই জানান পুরসভার আধিকারিক। পাশাপাশি মাস্ক না পরায় জরিমানাও করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এক দিনে একলাফে প্রায় ৪০ হাজার আক্রান্ত, দেশ জুড়ে বাড়ছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা