Anubrata Mondal: আবারও আইনি জটিলতা, দিল্লি হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রতর মামলার শুনানি

Anubrata Mondal: বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভাম্বানি অনুব্রতর দায়ের করা মামলাটি যশমিত সিং-র বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

Anubrata Mondal: আবারও আইনি জটিলতা, দিল্লি হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রতর মামলার শুনানি
দিল্লি হাইকোর্টে পিছল অনুব্রতর মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2022 | 12:57 PM

নয়া দিল্লি: আইনি জটিলতায় আবার পিছিয়ে গেল দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের দায়ের করা মামলার শুনানি। জানা যাচ্ছে, শুনানি হতে পারে আগামী সোমবার, বিচারপতি যশমিত সিং-এর বেঞ্চে।

কিন্তু কেন পিছিয়ে গেল মামলা?

জানা যাচ্ছে, গরু পাচার সংক্রান্ত মামলাতেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের এক্তিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি মামলা করেন, দুই অভিযুক্ত সায়গল হোসেন ও  বিনয় মিশ্র। সেই মামলা হাইকোর্টের বিচারপতি যশমিত সিং এর বেঞ্চে বিচারাধীন। এদিকে, সেই একই এফআইআর-এর অংশ হল অনুব্রত মণ্ডলের মামলাও। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভাম্বানির এজলাসে। এদিন অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করেন, একই মামলার অংশ কেন কেন আলাদা বেঞ্চে শুনানি? এরপরই বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভাম্বানি অনুব্রতর দায়ের করা মামলাটি যশমিত সিং-র বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তৎপর ইডি। এদিকে, যে কোনওভাবেই দিল্লি যাত্রা আটকাতে মরিয়া অনুব্রত। সেই কারণেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত। যাতে কিনা, তাঁর অবস্থা দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও গরু পাচারকাণ্ডের কিংপিন এনামুল হকের মতো না হয়, তার জন্য সওয়াল করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিব্বলও।

গত ১১ অগস্ট অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সূত্রের খবর, তদন্তে অনুব্রতর নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মেলে। সেই সম্পত্তির উত্‍স এবং কালো টাকার রংবদল কীভাবে তা জানতে গত ১৭ নভেম্বর অনুব্রতকে টানা ৫ ঘণ্টা জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু সেবার অনুব্রতর উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তদন্তকারীরা।

উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় সেদিনই কেষ্টকে ‘সোন অ্যারেস্ট’ করে ইডি। এরপরই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করার আবেদন জানান ইডির আধিকারিকরা।

এদিকে আবার সেই সপ্তাহেই মঙ্গলবার দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্টে ইডির আবেদন হওয়ার শুনানি ছিল। ঠিক তার আগেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে বারবার জামিনের আবেদন করেছেন। কিন্তু, এজেন্সির প্রভাবশালী তত্ত্বে, অনুব্রতর সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালতে। গত কয়েক মাসে সময় যত গড়িয়েছে, কেষ্ট মণ্ডলের চাপ ক্রমশই বেড়েছে। দিল্লি হাইকোর্টে সেই শুনানি পিছিয়ে যায়। আবারও দিল্লি হাইকোর্টে শুনানি পিছল। দিল্লিতে এই মুহূর্তে রয়েছেন সায়গল, এনামুল। অনুব্রতর গন্তব্য দিল্লি হলে, ত্রিভুজ সম্পূর্ণ হবে। ফলে চাপেই রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।