‘পাকিস্তান হামলা করলে ট্যাঙ্কার কি রাজ্য কিনবে?’ কেন্দ্রের টিকা নীতিকে চরম কটাক্ষ কেজরীর
ফাইজ়ার এবং মডার্নার ভ্যাকসিন কেনার আগ্রহ দেখায় দিল্লি। কিন্তু উভয় সংস্থাই জানিয়ে দেয়, ভারতের কোনও অঙ্গ রাজ্যকে নয়, বরং সরাসরি কেন্দ্রকেই তারা টিকা বিক্রি করবে।
নয়া দিল্লি: কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে এ বার চরম কটাক্ষের পথে হাঁটলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। রাজধানীতে লাগাতার টিকা সঙ্কটের জেরে বুধবার নতুন করে আবারও একাধিক টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে দিল্লি সরকারকে। এই অবস্থায় জোরালো প্রশ্ন তুলে কেজরী জানতে চেয়েছেন, পাকিস্তান যদি আজ হামলা করে তবে পালটা যুদ্ধের জন্য অস্ত্রশস্ত্র কি রাজ্য সরকারকে কিনতে হবে?
শুধু দিল্লি নয়, ভ্যাকসিনের আকালে পশ্চিমবঙ্গেও রীতিমতো হাহাকার চলছে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভ্যাকসিন সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র হলেও তা পাওয়াই যাচ্ছে না কোথাও। এই অবস্থায় দিনকয়েক আগে টিকা নীতিতে বদল এনে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারগুলি সরাসরি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছে থেকেই টিকা কিনতে পারবে। এর আগে যদিও রাজ্যগুলিকে টিকা পাঠাচ্ছিল কেন্দ্র। কিন্তু, গত ১ মে থেকে সেরাম ইন্সটিটিউট এবং ভারত বায়োটেকের মতো সংস্থাগুলি থেকেও টিকা কেনার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এমনকি, বিদেশি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি থেকেও টিকা কেনার ছাড়পত্র রাজ্যগুলিকে দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই মতো আমেরিকায় সর্বাধিক ব্যবহার হওয়া ফাইজ়ার এবং মডার্নার ভ্যাকসিন কেনার আগ্রহ দেখায় দিল্লি। কিন্তু উভয় সংস্থাই জানিয়ে দেয়, ভারতের কোনও অঙ্গ রাজ্যকে নয়, বরং সরাসরি কেন্দ্রকেই তারা টিকা বিক্রি করবে।
আরও পড়ুন: নির্দেশ না মানলে রামদেবকে দিতে হবে ১০০০০০০০০০০ টাকা
এই অবস্থায় উভয় সঙ্কটে পড়েছে দিল্লি সরকার। দেশের দুই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা পর্যাপ্ত টিকার জোগান দিতে পারছে না। বিদেশি কোম্পানিও হাত তুলে দিয়েছে। তাহলে রাজ্য করবে কী? যাবে কোথায়? এহেন অবস্থায় এ দিন কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে কেজরীবাল বলেন, “দেশের সরকার ভ্যাকসিন কিনছে না কেন? এর দায়িত্ব কখনই রাজ্যের উপর ছেড়ে দেওয়া যায় না। কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে গোটা দেশ লড়ছে। এখন যদি পাকিস্তান ভারতের উপর আক্রমণ করে, তবে কি রাজ্যগুলোকে সেই হামলা ঠেকানোর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে? এরকম হলে উত্তর প্রদেশ নিজের ট্যাঙ্কার কিনবে না দিল্লি নিজের অস্ত্র কিনবে?”
কেন্দ্রের আশ্বাস সত্ত্বেও বিদেশি কোম্পানিগুলো টিকা বিক্রিতে নিমরাজি হওয়ায় কেজরীবাল এ দিন বলেছেন, “আমি যতদূর জানি, কোনও রাজ্য সরকারই এখনও পর্যন্ত একটা ডোজ় ভ্যাকসিনও বিদেশ থেকে আমদানি করতে পারেনি। টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কথাই বলতে চাইনি।” যেই সময় নতুন নতুন টিকাকরণ কেন্দ্র খোলার কথা, সেই সময় একের পর এক কেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে। এর থেকে দুঃখজনক আর কিছুই হতে পারে না বলে জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সেরে উঠেছিলেন ট্রাম্প, দেশে প্রথম প্রয়োগ সেই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ অ্যান্টিবডি ককটেলের