অ্যাম্বুলেন্স দিতে অস্বীকার হাসপাতালের, হেঁটে বাড়ি ফেরার পথেই ধর্ষিত সদ্য করোনামুক্ত মহিলা

হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স না দেওয়ায় মা-মেয়ে হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিছুক্ষণ বাদেই দুই ব্যক্তি তাঁদের অনুসরণ করতে শুরু করে। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও মহিলাকে ধরে ফেলে অভিযুক্তরা। চা বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তাঁরা।

অ্যাম্বুলেন্স দিতে অস্বীকার হাসপাতালের, হেঁটে বাড়ি ফেরার পথেই ধর্ষিত সদ্য করোনামুক্ত মহিলা
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 31, 2021 | 7:35 AM

গুয়াহাটি: করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কড়া নির্দেশ ছিল বাড়ি ফিরে যাওয়ার। অ্যাম্বুলেন্স চাইলেও তা দিতে অস্বীকার করায় পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলেন মা-মেয়ে। কিন্তু মাঝপথেই দুই ব্যক্তির লালসার শিকার হতে হল। মেয়ের সামনেই মাকে চা বাগানে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করল দুই অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের চারাইদেও জেলায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের চা শ্রমিক গোষ্টার সদস্য ওই মহিলার করোনা রিপোর্ট গত ২৭ মে নেগেটিভ আসে। এরপরই ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হাসপাতাল থেকে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল তাঁর মেয়েও। আচমকাই দুই ব্যক্তি তাঁদের পিছু নেয়, কিছুদূর এগোতেই ওই মহিলাকে অপহরণ করে কাছেই অবস্থিত একটি চা বাগানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।

ঘটনার দুইদিন বাদে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান নির্যাতিতা। সে দিনের ঘটনার বিবরণ দিয়ে নির্যাতিতার মেয়ে বলেন, “কিছুদিন আগেই আমাদের পরিবার করোনা আক্রান্ত হয়। প্রথমে হোম আইসোলেশনে থাকলেও পরে মা-বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সকলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমার ও মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ আসতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের বাড়ি ফিরে যেতে বলে। আমরা অ্যাম্বুলেন্স চাইলেও তারা সেই পরিষেবা দিতে অস্বীকার করে। আমরা রাতটুকু হাসপাতালে কাটানোর অনুরোধ করলেও তারা রাজি হননি। বাধ্য হয়েই আমরা কার্ফুর মাঝেই হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিই।”

তিনি আরও জানান, কিছুক্ষণ বাদেই দুই ব্যক্তি তাঁদের অনুসরণ করতে শুরু করে। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও ওঁরা মাকে ধরে ফেলে। আমি দৌড়ে গ্রামবাসীদের খবর দিতে যাই। দুই ঘণ্টা বাদে মাকে উদ্ধার করা হয়।

অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে লেগে পড়েছে বলে জানান চারাইদেও-র পুলিশ অফিসার। তিনি জানান, ওই মহিলার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে, সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহান্তও গোটা ঘটনা জানতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং করোনামুক্ত সকল রোগীকে বাড়ি ফেরানোর জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন: ‘এখনও পেন ড্রাইভ রয়েছে’, কমল নাথের মন্তব্যে বিতর্ক, ‘হানি ট্রাপ’ নিয়ে প্রমাণ চাইল তদন্তকারী দল