Asad Ahmed Encounter: এনকাউন্টারে ছেলের মৃত্যু শুনে কী বললেন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ

Atiq Ahmed: আসাদের এনকাউন্টাের মৃত্যু দিনেই তাঁর বাবা আতিককে প্রয়াগরাজের আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

Asad Ahmed Encounter: এনকাউন্টারে ছেলের মৃত্যু শুনে কী বললেন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ
আতিক আহমেদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 13, 2023 | 7:10 PM

লখনউ: বিধায়ক রাজু পাল খুনের প্রধান সাক্ষী উমেশ পালকে প্রয়াগরাজে বাড়ির সামনে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি। সেই খুনে অভিযুক্ত ছিলেন উত্তর প্রদেশের কুখ্যাত মাফিয়া আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ আহমেদ। উমেশের খুনের ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশ বিশেষ টাস্ক ফোর্সের এনকাউন্টারে ঝাঁসীতে মৃত্যু হয়েছে আসাদের। ছেলে আসাদের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন কুখ্যাত দুষ্কৃতী আতিক। উমেশ পাল খুনের মামলায় হাজিরার জন্য বৃহস্পতিবারই প্রয়াগরাজের আদালতে গুজরাতের জেল থেকে আনা হয়েছিল আতিক আহমেদকে। আদালত থেকে বেরনোর সময় ছেলে আসাদের এনকাউন্টারে মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। ছেলের মৃত্যুর জন্য তিনিই দায়ী বলে জানিয়েছেন আতিক।

উমেশ পাল হত্যার ষড়যন্ত্রী হিসাবে নাম রয়েছে আতিক আহমেদের। বিধায়ক রাজু পাল খুনের মূল অভিযুক্ত সে। আতিকের বিরুদ্ধে ১০০টিরও বেশি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়। উমেশ পাল খুন সংক্রান্ত মামলায় গুজরাতের জেল থেকে উত্তর প্রদেশ আসা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন আতিক। পথে তাঁকে খুন করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। যদিও আতিকের সঙ্গে সে রকম কিছু ঘটেনি। তবে তাঁর ছেলের এনকাউন্টারে সেই আশঙ্কা সত্যি হল।

আসাদের এনকাউন্টাের মৃত্যু দিনেই তাঁর বাবা আতিককে প্রয়াগরাজের আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ। কিন্তু আদালতে ঢোকার মুখে জলের বোতল ছোড়া হয় আতিকের উদ্দেশে। উমেশ পাল খুনের মামলায় প্রয়াগরাজের আদালত আতিককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। আদালত থেকে বেরনোর পর আতিককে আসাদের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এর জবাবে, আসাদের মৃত্যুর জন্য নিজেকেই দায়ী করেছেন আতিক।

প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশে মাফিয়া রাজ শেষ করার হুমকি একাধিক বার শোনা গিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের গলায়। কখনও বিধানসভার অন্দরেই তিনি মাফিয়া রাজ ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁর প্রশাসনের চাপে মাফিয়াদের প্যান্ট ভিজে গিয়েছে বলেও কটাক্ষ করেছিলেন যোগী। এই এনকাউন্টার যোগী সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিরই ফসল বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের এক শীর্ষ পদস্থ পুলিশ অফিসার।