ওয়াইসিকে ‘বিজেপির চাচাজান’ বলে কটাক্ষ টিকায়েতের

Farmer Protest India, মিম প্রধানকে বিজেপির 'চাচাজান' বলে কটাক্ষ করেন রাকেশ টিকায়েত

ওয়াইসিকে 'বিজেপির চাচাজান' বলে কটাক্ষ টিকায়েতের
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি টিকাইতের (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2021 | 7:12 PM

মিরাট: এ বার কৃষি আইনের (Farm Bill) বিরোধিতায় মুসলিম সমর্থনকারীদের সমর্থন পেল ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (Bharat Kishan Union)। তবে সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে (Asaduddin Owaisi) একহাত নিতে ছাড়লেন না কিষাণ ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait)। মিম প্রধানকে বিজেপির ‘চাচাজান’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। টিকায়েতের অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছেন ওয়েইসি।

বাঘপতে নবনির্মিত রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন টিকায়েত। সেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, মহেন্দ্র প্রতাপ সিংকে (Mahendra Pratap Singh) ‘কৃষকদের রাজা’ বলে মন্তব্য করেন টিকায়েত। এরপরেই তিনি বলেন “কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিজেপির আর চিন্তা করার কথা নয় কারণ তাদের চাচা জান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি উত্তর প্রদেশেই রয়েছেন। ওয়াইসি বিজেপির বিরুদ্ধে অশোভনীয় মন্তব্য করলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয় না, কারণ তাঁর মাথায় বিজেপির হাত রয়েছে। তিনি বিজেপির সুবিধার কথা ভেবে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেন।”

আরও পড়ুন হাসপাতালের বেডে গাদাগাদি আক্রান্ত শিশুদের! কেন অব্যবস্থা, প্রশ্ন বিজেপি বিধায়কের

এই মাসের প্রথমে, মুজাফফরনগরে কৃষকদের মহা পঞ্চায়েতে প্রভাবশালী মুসলিম কৃষক নেতা গুলাম মহম্মদ জোলাকে (Ghulam Mohammad Jola), টিকাওয়াত এবং তাঁর ভাই তথা ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সভাপতি নরেশ টিকাওয়াতের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায়। ওই সভায় টিকাওয়াত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ঐক্যের কথা মাথায় রেখে একত্রে ‘আল্লহ হু আকবর’ ও ‘হর হর মহাদেব’ স্লোগান তোলেন।

রাকেশ টিকায়েত আরও বলেন “কৃষকরা বিজেপি ও ওয়াইসির যাবতীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।” রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের প্রসঙ্গ পুনরায় উঠে আসায় তিনি বলেন “এখানে শুধুমাত্র পাঁচটি ইট গাথা ছিল,আর আমরা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করছি। মহেন্দ্র প্রতাপ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে (Aligarh Muslim University) জমি দিয়েছিলেন। তিনি হরিদ্বারকেও (Haridwar) জমি দান করেছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য তিনি জমি বেচেঁ অর্থের যোগান দিয়েছিলেন। বিজেপি নেতাদের অবদান কী? কেউ জেলে অবধি জাননি।”

“যতক্ষণ না পর্যন্ত বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন, কেন্দ্রীয় সরকার বাতিল করছে ততক্ষণ কৃষকরা লড়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার বলছে তাঁরা কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা চান, একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন প্রস্তাবিত কৃষি আইন বাতিল করা অসম্ভব। দুটি একই সঙ্গে কিভাবে সম্ভব?” প্রশ্ন টিকাওয়াতের।

ক্রমশ বিজেপি বিরোধিতার মঞ্চ হয়ে উঠছে কৃষক আন্দোলন। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা। এর বিরোধিতায় পুনরায় ২৭ সেপ্টেম্বর ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠন গুলি। বিরোধী দল গুলিও কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে। এখন কৃষক বিল ও কৃষক আন্দোলন নিয়ে রাজনীতির জল কতদূর গড়ায় সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।

আরও পড়ুন ৪০ দিনেই ৪ বার পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলার ছক! অতি সতর্ক থাকার নির্দেশ অমরিন্দরের