অসমে কংগ্রেসের ডুবন্ত নৌকা বাঁচাতে ত্রাতার ভূমিকায় ‘টিম বাঘেল’

গত মাসেই জাতীয় কংগ্রেসের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ছত্তিশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল(Bhupesh Baghel)-কে অসমে বিধানসভা নির্বাচনের মুখ্য পর্যবেক্ষক (observer) হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এরপরই অসমের জেলাস্তর থেকে রাজ্যস্তরের কংগ্রেস নেতৃত্বদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে প্রায় এক ডজন কৌশলবিদ নিয়োগ করেছেন তিনি।

অসমে কংগ্রেসের ডুবন্ত নৌকা বাঁচাতে ত্রাতার ভূমিকায় 'টিম বাঘেল'
অসমে নির্বাচনী প্রচারে ভূপেশ বাঘেল। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Feb 24, 2021 | 5:49 PM

গুয়াহাটি: অসমে বিধানসভা নির্বাচন (Assam Assembly Election) বাকি মাত্র হাতে গোনা দুই মাস। একের পর এক রাজ্য থেকে দখল হারানোর পর অসমকেই আপাতত পাখির চোখ করেছে কংগ্রেস (Congress)। আর সেই লক্ষ্যেই এবার দলীয় কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে কংগ্রেস। সূত্র অনুযায়ী, অসম নির্বাচনে “ছত্তিশগঢ় মডেল” অনুসরণ করেই এগোচ্ছে কংগ্রেস, দলীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে তৈরি করা হয়েছে “টিম বাঘেল”।

গত মাসেই জাতীয় কংগ্রেসের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ছত্তিশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল(Bhupesh Baghel)-কে অসমে বিধানসভা নির্বাচনের মুখ্য পর্যবেক্ষক হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এরপরই অসমের জেলাস্তর থেকে রাজ্যস্তরের কংগ্রেস নেতৃত্বদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে প্রায় এক ডজন কৌশলবিদ নিয়োগ করেছেন। টিম বাঘেলে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শদাতারা, ক্যাবিনেট মন্ত্রী, একাধিক বিধায়ক ও জেলা অধিকর্তারা। সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ার উপর নজরাদারি করছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বাঘেল।

টিম বাঘেলের সদস্যদের নিজের হাতে বেছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। দলীয় কর্মীদের মধ্যে মনোবল বাড়াতে ও দলের প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতাকে মনে করিয়ে দিতে প্রতিটি প্রশিক্ষণই শুরু হয় হিন্দিতে শপথ নিয়ে। দল ও ভারতীয় সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতার কথাই শপথে বলা হয়। এই বিষয়ে অসম কংগ্রেসের সভাপতি রিপুন বোরা (Ripun Bora) বলেন, “মধ্য প্রদেশে যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়েছিল, সেই মনোবল ও শপথ নিয়েই আমরা অসমে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবো।”

আরও পড়ুন: সংক্রমণ বাড়লেও বাড়েনি সচেতনতা, মাস্ক না পরায় একদিনেই জরিমানা বাবদ আয় ৩২ লাখ!

অসমে কংগ্রেসকর্মীদের প্রশিক্ষণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শদাতা বিনোদ ভর্মা বলেন, “ছত্তিশগঢ়ে আমরা যেভাবে প্রতিটি বুথকর্মী থেকে শুরু করে সকল দলীয় কর্মীদের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে এখানে। অসমে ইতিমদ্যেই প্রচুর কংগ্রেসকর্মী রয়েছেন, তাঁদের কেবল একত্রিত করা এবং উৎসাহিত করার প্রয়োজন।”

বিগত কয়েক বছরে একাধিক শীর্ষ নেতার দলত্যাগে অসমে কংগ্রেসের অবস্থান টলোমলো ছিল, তার উপর একের পর এক নির্বাচনে হার ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ(Tarun Gogoi)-র মৃত্যুতে দলের সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই অনুসরণ করা হচ্ছে টিম বাঘেলের পরামর্শ।

আরও পড়ুন: ‘অন্তরীক্ষম শান্তি, পৃথ্বী শান্তি’, এই প্রথম রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে সংস্কৃত