Flood in Assam: অসমের বন্যা-পরিস্থিতি ভয়াবহ, বানভাসী ১০ জেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা

Assam Flood: এখনও পর্যন্ত ৭৮০টি গ্রামের ১০, ৫৯১.৮৫ হেক্টর চাষজমি জলের নীচে চলে গিয়েছে বলে ASDMA-র রিপোর্টে উল্লিখিত। এছাড়া বক্সা, বরপেতা, ধুবড়ি, ডিব্রুগড় সহ প্লাবিত জেলাগুলিতে বিভিন্ন জায়গায় ভূমিক্ষয় ও ধস শুরু হয়েছে।

Flood in Assam: অসমের বন্যা-পরিস্থিতি ভয়াবহ, বানভাসী ১০ জেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা
অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2023 | 5:16 PM

গুয়াহাটি: অসমের (Assam) বন্যা-পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অসমের বন্যা-পরিস্থিতির (Flood-situation) আরও অবনতি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের অসমের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০টি জেলা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বানভাসী লক্ষাধিক মানুষ। বন্যা-দুর্গত প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ASDMA-র অফিসিয়াল বুলেটিনে এমনটাই জানানো হয়েছে। চলতি বছরে এই প্রথমবার বন্যা-দুর্গতের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়াল। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়ার এখনই কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতের (Heavy rain) সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।

মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী কয়েকদিন অসমের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার গোটা অসমে ‘হলুদ সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। অসম ছাড়া প্রতিবেশী মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশেও শুক্রবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।

অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (ASDMA) তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বানভাসী বক্সা, বরপেতা, দারাং, ধেমাজি, ধুবড়ি, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, নলবাড়ি, সোনিতপুর ও উদয়গিরি জেলা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নলবাড়ি জেলার। কেবল এই জেলা থেকে বন্যা-দুর্গত ৪৫ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। এর পরে রয়েছে বক্সা ও লখিমপুর। বক্সা থেকে ২৬, ৫০০ ও লখিমপুর জেলা থেকে ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা, আধাসেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল ও আপৎকালীন বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন সহ একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সকলের যৌথ প্রয়াসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১,২৮০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। ASDMA-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০টি জেলায় এখনও পর্যন্ত বন্যা-দুর্গত মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ। ৫ জেলায় ১৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি বন্যা-দুর্গত। এছাড়া ৫ জেলায় ১৭টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বন্যার জেরে চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৭৮০টি গ্রামের ১০, ৫৯১.৮৫ হেক্টর চাষজমি জলের নীচে চলে গিয়েছে বলে ASDMA-র রিপোর্টে উল্লিখিত। এছাড়া বক্সা, বরপেতা, ধুবড়ি, ডিব্রুগড় সহ প্লাবিত জেলাগুলিতে বিভিন্ন জায়গায় ভূমিক্ষয় ও ধস শুরু হয়েছে। এমনকি, ডিমা,হাসাও কামরূপ শহরেও বিভিন্ন এলাকায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক রাস্তা, সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপর্যস্ত অবস্থা মাজুলি দ্বীপেরও।

ASDMA-র রিপোর্টে উল্লিখিত, পুথিমারী নদীর জল আগেই বিপদসীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের জলও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পাশাপাশি ফুঁসতে শুরু করেছে বেকি, মানস, কোপলি, সঙ্কোশ সহ সমস্ত নদী। সবমিলিয়ে, বিপর্যস্ত অবস্থা অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের।