Assam Flood: বৃষ্টি থামার নাম নেই, ভয় ধরাচ্ছে নদীর প্লাবন, গলা সমান জলেই আশ্রয়ের খোঁজে রাজ্যবাসী
Assam Flood: প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ৫৫ লক্ষ মানুষ বন্যায় প্রভাবিত হয়েছেন। শুধুমাত্র বরপেটাতেই ১২ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
গুয়াহাটি: বৃষ্টি বাড়তেই আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি। মঙ্গলবারও লাগাতার বৃষ্টির জেরে ধস নামে অসমের একাধিক জায়গায়। বন্যা ও ধসে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এই নিয়ে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৯-এ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৩২টি জেলা। ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদী। জলস্তর বাড়ছে রাজ্যের অন্য়ান্য নদীগুলিতেও।
আবহাওয়া দফতরের তথ্য় অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় তুলনামূলকভাবে বেশ কয়েক জায়গায় কম বৃষ্টি হলেও, বন্যার জলে প্লাবিত হয়েছে একাধিক জেলা। বন্যায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিম্ন অসম। বারাক ভ্যালি-কাচার, করিমগঞ্জ, হালাইকান্দিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার বন্যার জলে ডুবে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে।
অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, কামরূপ জেলায় তিনজন জলে ডুবে মারা গিয়েছেন। করিমগঞ্জ, তামিলপুর ও উদালগুরিতেও একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কামরূপ জেলাতে একজন জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ৫৫ লক্ষ মানুষ বন্যায় প্রভাবিত হয়েছেন। শুধুমাত্র বরপেটাতেই ১২ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ধুবরি, দারাং, নাগাঁও, কামরূপ জেলাতেও লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২৭টি জেলা মিলিয়ে মোট ১৬৮৭ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ২৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ ওই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া ৮২৫ টি ত্রাণকেন্দ্রও খোলা হয়েছে।
ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চাষের জমিও। প্রায় ১০৮৩০ হেক্টর জমি বন্যার জলে ডুবে গিয়েছে। ৩০ লক্ষেরও বেশি গৃহপালিত পশু ও পাখি প্রভাবিত হয়েছে। প্রায় ২৬০০ কাঁচা ও পাকা বাড়ি ভেঙে গিয়েছে।
বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারকাজে জেলা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পাশাপাশি সেনা বাহিনীও হাত লাগিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ত্রাণ বন্টন করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, বরপেটা থেকে মঙ্গলবার ৪৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।