সীমানা সমস্যায় আরও ইন্ধন, মিজোরামগামী সড়ক ও রেলপথ বন্ধ করছে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি

চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই চরম আকার নিয়েছে অসম মিজোরামের মধ্যে কয়েক দশকের সীমানা বিরোধ।

সীমানা সমস্যায় আরও ইন্ধন, মিজোরামগামী সড়ক ও রেলপথ বন্ধ করছে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি
অসমের কাচারে স্থানীয়দের প্রতিবাদ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2021 | 4:36 PM

গুয়াহাটি: সীমানা সমস্যা মেটাতে দুই রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন মতোই হস্তক্ষেপ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিতর্কিত সীমানায় কোনও রাজ্যের পুলিশ নয়, পাহারা থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। তবুও মেটেনি ক্ষোভ। এ বার অবরোধের ডাক দিল কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি। জানানো হয়েছে, মিজোরামগামী সমস্ত গাড়ি আটকানো হবে। রেল চলাচল রুখতে একাধিক জায়গায় উপড়ে ফেলা হয়েছে লাইনও।

বুধবার অসমের কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির তরফে অর্থনৈতিক অবরোধের ঘোষণা করা হয়। মিজোরামের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সড়ক ও রেললাইন অবরোধ করেছেন সমিতির সদস্য়রা। উপড়ে ফেলা হয়েছে বদরপুর-ভৈরবী সেকশনের মহম্মদপুর ও জামিরা এলাকার রেল লাইনের একাংশ। বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত করতে মেঘালয়ের রি-ভয় জেলা ও অসমের কামরূপের সংযোগস্থলের লংখুলিতে অসম পুলিশ বিদ্যুত্‍ পর্ষদের খুঁটি উপড়ে দেয়। বাণিজ্য ও দেশের বাকি অংশের জন্য যোগাযোগ স্থাপনের জন্য অসমের উপর দিয়েই মিজোরামে প্রবেশ করতে হয়। তাই সড়ক ও রেল পথ বন্ধ করে প্রতিবেশী রাজ্যকে শায়েস্তা করতে চাইছে অসমের কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি। এ দিকে, কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রতিবেশী রাজ্যগুলির জমি দখল করে গণ্ডগোল বাঁধাচ্ছে অসমই।

চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই চরম আকার নিয়েছে অসম মিজোরামের মধ্যে কয়েক দশকের সীমানা বিরোধ। রবিবার গভীর রাতে সীমানা লাগোয়া আটজন কৃষকের বাড়ি পুড়িয়ে দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। এরপরই সকাল থেকে দুই রাজ্য়ের বাসিন্দাদের মধ্যে ধুন্ধুমার লড়াই শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নামলেও কিছুক্ষণেই তা রণক্ষেত্রের আকার নেয়। গুলি চালানোর ঘটনায় অসমের ৭ পুলিশ কর্মী ও একজন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই জারি রয়েছে অশান্তি।

দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই টুইটে একে অপরকে আক্রমণ করার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে গোটা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানান। এরপরই বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা দুই রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সীমানায় আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা মোতায়েন থাকবে।  দুই রাজ্যও এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন: উপরে বাস, নীচে মেট্রো, গড়করীর কাছে ‘ত্রি-টায়ার’ চাইলেন মমতা, সঙ্গে কিছু ফ্লাইওভার