Assam: বাড়ছে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, অসমের মসজিদ-মাদ্রাসার আলেমদের জন্য জারি নতুন নিয়ম
Assam's New Rules For Mosque, Madrasa Clerics: রাজ্যের বাইরে থেকে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে অসমের মসজিদ এবং মাদ্রাসাগুলিতে নিযুক্ত হলে, তাদের সরকারি পোর্টালে নাম ও পরিচয়ের বিশদ নিবন্ধন করতে হবে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই নতুন নিয়ম ঘোষণা করেছেন।
গুয়াহাটি: অসমের মসজিদ এবং মাদ্রাসাগুলিতে রাজ্যের বাইরে থেকে অনেকেই ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। এখন থেকে তাঁদের সরকারি পোর্টালে নাম নিবন্ধন করতে হবে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই নতুন নিয়ম ঘোষণা করেছেন। শনিবারই, গোয়ালপাড়া জেলায় সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে, রাজ্যের বাইরে থেকে আসা দুই আলেমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার দু’দিন পরই এই নয়া নিয়ম জারি করা হল।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, “গ্রেফতার হওয়া দুইজনের মধ্যে একজন ছিল এক মসজিদের ইমাম। সে ছিল রাজাকার। সে অনেক গ্রামে জিহাদি নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল। জিহাদি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য ছয় বাংলাদেশি নাগরিক অসমে প্রবেশ করেছিল। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ। বাকি পাঁচজন এখনও পলাতক। অসম পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাবে। আমরা এখন কিছু স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি করেছি। কোনও ইমাম গ্রামে আসলে, তাঁকে অবশ্যই স্থানীয় পুলিশকে খবর দিতে হবে। পুলিশ তাঁর পরিচয় যাচাই করবে। তারপরই তাকে ইমাম হিসাবে নিয়োগ করা যাবে। অসমের মুসলিম সমাজ এই বিষয়ে আমাদের সমর্থন করছে।”
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, অসমের বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। তিনি বলেছেন, “যারা অসমের বাসিন্দা তাদের পরিচয়ের বিবরণ নিবন্ধন করার দরকার নেই। তবে যারা রাজ্যের বাইরে থেকে আসছেন, তাদের এই পোর্টালে পরিচয়ের বিশদ নিবন্ধন করতে হবে।” সম্প্রতি গুয়াহাটিতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেছিলেন, অসম জিহাদি কার্যক্রমের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। গত পাঁচ মাসে বাংলাদেশি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আনসারুল ইসলাম বা আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি মডিউল ধরা পড়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে অসমে অন্তত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত শনিবার, গোয়ালপাড়া জেলা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের একজন হলেন মরনই থানার তিনকোনিয়া শান্তিপুর মসজিদের ইমাম আবদুস সোবাহান এবং অপরজন, মাটিয়া থানার টিলাপাড়া মসজিদের ইমাম জালালউদ্দিন। তাদের মধ্যে সোবাহানের সঙ্গে ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট’ বা ‘একিউআইএস’-এর সদস্য বলে জানিয়েছিল পুলিশ। দুই আলেমই গত তিন থেকে চার বছর ধরে যুবদের উগ্রপন্থায় উদ্বুদ্ধ করছিল বলে দাবি পুলিশের।