Lucknow building collapse: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল আস্ত বহুতল, মৃত ৩, ধ্বংসস্তূপের নীচে ৫০ পরিবার

Lucknow building collapse: বুধবার সন্ধ্যায়, লখনউয়ে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল একটি বহুতল, মৃত ৩। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছেন বহু মানুষ।

Lucknow building collapse: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল আস্ত বহুতল, মৃত ৩, ধ্বংসস্তূপের নীচে ৫০ পরিবার
লখনউয়ে বড় বিপর্যয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2023 | 8:36 PM

লখনউ: বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায়, উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল একটি বহুতল। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হজরতগঞ্জ এলাকার ওয়াজির হাসান রোডে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও দমকল বিভাগের দল। জানা গিয়েছে, যে বাড়িটি ভেঙে পড়েছে তার নাম আলয় অ্যাপার্টমেন্ট। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে দাবি করেছেন, ওই আবাসিক ভবনে অন্ততপক্ষে ৫০টি পরিবার বাস করত। কাজেই ৮০ থেকে ৯০ জন ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে বাড়িটি ভেঙে পড়ল, তা জানা যায়নি। কেউ কেউ বলছেন একটি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পরই ভবনটি ধসে পড়েছে। আবার, কেউ কেউ সন্দেহ করছেন যে ভবনটি ভেঙে পড়ার পিছনে রয়েছে ভূমিকম্প। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ নেপালে একটি ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। যার জেরে কেঁপে উঠেছিল লখনউ-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে, ভূমিকম্পের প্রায় ৪ ঘণ্টা পর বাড়িটি ধসে পড়ে।

ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ শুরু করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি দল। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও এই ঘটনার বিষয়ে খোঁজখবর করেছেন। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে গতি আনতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। পাশাপাশি, আহতদের সমস্ত রকম চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।

ইতিমধ্য়েই, ঘটনাস্থলে উপস্থিত উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে বহু মানুষকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। তিনজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালগুলিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠকও। তিনি বলেছেন, “এই মুহূর্তে আমরা ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়া মানুষদের উদ্ধারেরই জোর দিচ্ছি। যত বেশি সম্ভব মানুষের প্রাণ বাঁচানোই আমাদের লক্ষ্য।”

অনেকে দাবি করছেন, উত্তর প্রদেশ পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা, সপরিবারে ওই ভবনের উপরের তলায় থাকতেন। প্রতিবেশীদের দাবি, গত কয়েকদিন ধরেই ওই বাড়িটিতে মেরামতির কাজ চলছিল। বেসমেন্ট থেকে বিভিন্ন রকম যন্ত্রপাতির আওয়াজ আসছিল। তবে ঠিক কী কাজ চলছিল, তা কেউ জানাতে পারেননি।