পাঁচ লাখ দিলেই হাসপাতালে চাকরি! ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত অনেকে

টাকা নেওয়ার পর করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের কারণ দেখিয়ে দীর্ঘদিন টালবাহানা করে অভিযুক্ত কেরানি। অবশেষে অগস্ট মাসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিয়োগপত্র দেয় সে। পরের মাসেই চাকরিতে যোগ দিতে গিয়েই হল পর্দাফাস!

পাঁচ লাখ দিলেই হাসপাতালে চাকরি! ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত অনেকে
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 30, 2021 | 8:38 PM

বরেলি: পাঁচ লাখ টাকাতেই হাসপাতালে চাকরি! আসন পাকা করতে অগ্রিম দিতে হবে তিন লাখ টাকা। চাকরি যোগ দেওয়ার আগে ফিটনেস পরীক্ষা নেওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় পদ্ধতি অনুসরণ করেই হচ্ছিল নিয়োগ। টাকা জমা দিতেই দেওয়া হয়েছিল নিয়োগপত্রও। কিন্তু চাকরি যোগ দিতে গিয়েই মাথায় হাত। হাসপাতালের কথায়, ভুয়ো চাকরির টোপে টাকা খুইয়েছেন তাঁরা। উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh)-র বরেলিতে কমপক্ষে ৫০ জন এই ফাঁদে পা দিয়েছেন বলে জানাল পুলিশ।

logo2

ভুয়ো চাকরির ফাঁদে টাকা খোয়ানোর বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়তেই বরেলি জেলার পুলিশ প্রধান ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। তারপরই ধীরে ধীরে পর্দাফাঁস। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে অভিযোগকারী ব্যক্তিদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের কেরানি জানায় টাকার বদলে নতুন ৩০০ শয্যার হাসপাতালে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। সুপারভাইজার, কম্পিউটার অপারেটর, ল্যাব টেকনিশিয়ান, গাড়ির চালক, ওয়ার্ড বয় সহ নানা পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ চলছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন তাঁদের জানানো হয়, বরেলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি দেখছেন এবং তিনিই প্রার্থীদের নিয়োগ করবেন।

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের কেরানি ও হাসপাতালের তিন কর্মী তাঁদের নিজেদের আসন পাকা করতে তিন লাখ টাকা জমা করতে বলে। সেইমতো টাকাও জমা করেন তাঁরা। কিন্তু নিয়োগ পত্র হাতে না পাওয়ায় ফের সেই কেরানির কাছে যান তাঁরা। নানা টালবাহানার পর গতবছরের মার্চ মাসে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের তরফে একটি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। সেখানে মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্টের সই ও স্ট্যাম্পও ছিল বলে জানান অভিযোগকারীরা।

আরও পড়ুন: ভারতে করোনা-কান্নার বর্ষপূর্তি, ‘অভিশপ্ত’ ৩০ জানুয়ারিতে কোথায় দাঁড়িয়ে ভারত?

এরপর করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকিয়ে রয়েছে বলে জানা ওই কেরানি। তিনি অভিযোগকারীদের জানান, বর্তমানে হাসপাতালটি কোভিড কেয়ার সেন্টারে (COVID Care Centre) পরিণত করা হয়েছে। সুতরাং বর্তমানে নতুন কর্মচারী নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে। কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পর অগস্ট মাসে ফের ওই কেরানিকে চাকরির জন্য চাপ দেওয়া হলে তাঁদের জেলা হাসপাতালে ডেকে একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। হাসপাতালের আধিকারিকদের ভুয়ো স্ট্যাম্পসহ একটি সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়।

সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে তাঁরা নিয়োগপত্র নিয়ে হাসপাতালে যোগ দিতে গেলে আধিকারিকরা যাবতীয় কাগজপত্র পরীক্ষা করে জানান, সমস্ত কাগজই ভুয়ো। নতুন হাসপাতালে কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়াই শুরু করা হয়নি। এরপরই পুলিশের দারস্থ হন তাঁরা। অভিযুক্ত ওই কেরানিকে আটক করায় সে দুই মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেবে বলেও জানিয়েছিল, এমনটাই জানানো হয়েছে অভিযোগ পত্রে। ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজ করছে পুলিশ, শুরু হয়েছে তদন্ত।

আরও পড়ুন: জুন মাসেই ভারতে কোভোভ্যাক্স! টুইটে আশাবাদী সিরামকর্তা