হিন্দুরা ক্রিসমাস পালন করলেই জুটবে মার, সতর্কবার্তা বজরং দলের

মিঠু নাথের দাবি, খাশি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (Khasi Student Union) শিলংয়ের রামকৃষ্ণ মিশন ও তার সংলগ্ন মন্দির বন্ধ করিয়ে দিয়েছে। যদিও মোঘালয় সরকার (Meghalaya Government)-র তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

হিন্দুরা ক্রিসমাস পালন করলেই জুটবে মার, সতর্কবার্তা বজরং দলের
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছেন মিঠু নাথ। ছবি সংগৃহীত।
Follow Us:
| Updated on: Dec 05, 2020 | 4:54 PM

গুয়াহাটি: ক্রিস্টমাস (Christmas) পালন করলেই কপালে জুটবে বেধড়ক মার। গত সপ্তাহেই অসম (Assam)-র শিলচরে একটি অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিয়ে বজরং দল (Bajrang Dal) জানায়, যে হিন্দুরা ক্রিসমাসে অংশ নিতে চার্চে যাবে, তাদের মার খেতে হবে।

ভাইরাল (Viral Video) হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishwa Hindu Parishad)-র জেলা সাধারণ সেক্রেটারি মিঠু নাথ (Mithu Nath) শিলংয়ে বিবেকানন্দ সেন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। তিনি বলেন,”আমাদের মন্দির বন্ধ করে দেওয়ার পর যদি কোনও হিন্দু ক্রিস্টান অনুষ্ঠানে যোগদান করে, তবে তাদের মারধোর খেতেই হবে। কোনও হিন্দু যাতে ক্রিসমাসে চার্চে না যায়,সেই বিষয়টা আমরা নিশ্চিত করব।”

তিনি আরও বলেন,”জানি, আমরা যদি এটা করি (হিন্দুদের মারধোর), তবে পরেরদিন সংবাদপত্রে হেডলাইন হবে গুন্ডাদল ওরিয়েন্ট স্কুল ভাঙচুর করেছে। তবে এতে আমাদের কিছু যায় আসে না। যেখানে শিলংয়ে আমাদের মন্দির ওরা বন্ধ করে দিয়েছে, সেখানে কিছুতেই হিন্দুদের ক্রিসমাস পালন করতে দেব না।”

মিঠু নাথের দাবি, খাশি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (Khasi Student Union) শিলংয়ের রামকৃষ্ণ মিশন ও তার সংলগ্ন মন্দির বন্ধ করিয়ে দিয়েছে। যদিও মোঘালয় সরকার (Meghalaya Government)-র তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা জানান, এটি এটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাডভান্সড কম্পিউটার কোর্স (Advanced Computer Course) শেখানো হয়। জেলায় একটি ছুটির কারণে সেই প্রাঙ্গণের গেটে তালা দেওয়া হয়েছে, চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। রামকৃষ্ণ মিশনের কোনও মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: ‘এত পড়লে লড়াই করব কখন?’ সিলেবাসের চাপে বেজায় অখুশি মাও-গেরিলারা

মেঘালয়ের কাচার (Cachar) জেলায় ক্রিস্টান পরিবারের সংখ্যা কম হলেও শিলচরের কাছে ওরিয়েন্ট স্কুলে প্রতিবছরই ২৫ ডিসেম্বর বেশ ধুমধাম করেই ক্রিসমাস পালন করা হয়। বহু ধর্মের মানুষেরও সমাগম হয় সেখানে। এবার সেখানেই হিন্দুদের যাওয়ায় বিধিনিষেধ জারি করল বজরং দল।

ক্রিসমাসের পাশাপাশি ‘লভ জিহাদ’ (Love Jihad) নিয়েও সরব হয় বজরং দল (Bajrang Dal)। এই বিষয়ে মিঠু নাথ বলেন,”লোকজন আমাদের গুন্ডাদল বলে। যদি নিজের মা-বোনেদের ভুল পথে যাওয়া থেকে আটকাতে এই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়, তবে সেই মূল্য চোকাতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই।”

তবে অনুষ্ঠানের শেষে নিজের পিঠ বাঁচাতে তিনি বলেন,”নিজেদের ধর্ম রক্ষা করতে যা করতে হয় করুক, তবে তা আইনের দায়রা মেনেই করুন। নিজেদের হাতে আইন তুলে নেবেন না। নিজেদের ধর্ম রক্ষায় যা কিছু প্রয়োজন, সব করুন। আমরাই শেষ আশা।”

আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী