Bengaluru: হরর ফিল্ম দেখে বেরিয়েই পুলিশকে কামড় যুবতীর, গভীর রাতে কী করছিলেন মলে?

Bengaluru woman bites police: পুলিশ আসার পর উত্তেজনা আরও বাড়ে। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ওই যুবতী। পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে মল প্রাঙ্গণ ছেড়ে যেতে বলায়, তিনি ওই পুলিশকর্মীদের কামড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ!

Bengaluru: হরর ফিল্ম দেখে বেরিয়েই পুলিশকে কামড় যুবতীর, গভীর রাতে কী করছিলেন মলে?
রাত সাড়ে দশটায় নান-টু ফিল্ম দেখতে গিয়েছিলেন যুবতী, তারপরই...Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 15, 2023 | 6:32 PM

বেঙ্গালুরু: বেঙ্গালুরুর এক মলে, রাত সাড়ে দশটার শোয়ে ভূতের সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন যুবতী। রাতের শোয়ে ভূতের সিনমা দেখার শিহরণ উপভোগ করতে চান অনেকেই। কিন্তু, ২৮ বছরের ওই যুবতীর অ্যাডভেঞ্চারের নেশাটা বোধহয় আরও বেশি ছিল। সিনেমা শেষ হওযার পরও, বহু রাত পর্যন্ত মলেই থেকে গিয়েছিলেন তিনি। রাত আড়াইটে নাগাদ মলের ভিতর তাঁকে দেখতে পেয়েছিলেন কর্মীরা। তারপর, তাঁকে অবিলম্বে মল ছাড়তে বলেছিলেন নিরাপত্তা কর্মীরা। তিনি রাজি হননি। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে পুলিশ ডাকতে বাধ্য হন মলকর্মীরা। পুলিশ আসার পর উত্তেজনা আরও বাড়ে। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ওই যুবতী। পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে মল প্রাঙ্গণ ছেড়ে যেতে বলায়, তিনি ওই পুলিশকর্মীদের কামড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ!

জানা গিয়েছে, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ১২ অক্টোবর ভোরে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবতী আদতে দাভানাগেরের বাসিন্দা। তবে, বেঙ্গালুরুর মহিলা বেঙ্গালুরুর কোরমঙ্গল এলাকায় এক বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকেন। পেশায় তিনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। ১১ অক্টোবর রাত সাড়ে দশটায় তিনি কোরামঙ্গলের নেক্সাস মলে ‘দ্য নান ২’ দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সিনেমাটি শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরও তাঁকে মলের ভিতর ঘোরাঘুরি করতে দেখেছিলেন। পুলিশের দাবি, মলকর্মীরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, অত রাত পর্যন্ত তিনি মলে কী করছেন। কিন্তু, যুবতী তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন। উল্টে, তাঁকে মল ছাড়ার কথা বললে, তিনি মল কর্মী এবং মল ম্যানেজারকে গালিগালাজ করেন। এমনকি নিরাপত্তা কর্মীদের শারীরিকভাবে আক্রমণও করেন।

মলে ম্যানেজার তখন পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। ওই অঞ্চলে সেই সময় টহল দিচ্ছিলেন এক সাব-ইন্সপেক্টর। তিনি দ্রুত ওই মলে আসেন। এরপর ওই মহিলাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু সেখানেও, তিনি পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি, ধরার পড়ার পর ওই কর্তব্যরত এসআইয়ের হাতে তিনি কামড়েও দেন বলে, অভিযোগ রয়েছে। পুলিশকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন, এএসআইয়ের দিকে জুতো ছুড়েও মারেন। পুলিশের দাবি, তাঁর আচরণের জন্য তিনি বিপদে পড়তে পারেন বলে তাঁকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপরও তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তার হিংসাত্মক আচরণ চালিয়ে যান।

এরপর, ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকচি ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ। সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য পালনে বাধাদান, বল প্রয়োগের করা, স্বেচ্ছায় আঘাত করা, স্বেচ্ছায় বিপজ্জনক অস্ত্র বা উপায়ে আঘাত করা, ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করার মতো ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে আপাতত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। পুলিশ এখন তাঁর মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। তিনি মলে গিয়ে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন কিনা, সেই বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি কোনও মাদক বা অন্য কোনও নেশাদ্রব্যের প্রভাবে ছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।