Bihar: ‘এরপর তো কন্ডোম চাইবে, পাকিস্তানে যাও!’ সস্তায় স্যানিটারি প্যাড চাইতেই…
Bihar: সস্তায় স্যানিটারি ন্যাপকিন চেয়ে এক স্কুলছাত্রীকে শুনতে হল এরপর তো সে সস্তায় কন্ডোমও চাইবে! বিহারে আইএএস অফিসারের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক।
পটনা: সস্তায় স্যানিটারি ন্যাপকিন চেয়ে এক স্কুলছাত্রীকে শুনতে হল এরপর তো সে সস্তায় কন্ডোমও চাইবে! এক আইএএস অফিসার বলেন, “আগামীকাল তুমি বলবে সরকার জিন্স দিতে পারে। তারপর বলবে সুন্দর জুতো নেই কেন? শেষ পর্যন্ত তুমি আশা করবে সরকার তোমাকে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি হিসেবে কন্ডোমও দেবে।” স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর), বিহারের পটনায় ‘শক্ত বেটি, সমৃদ্ধ বিহার’ নামে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। ইউনিসেফ এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বে এই কর্মশালার আয়োজন করেছিল বিহারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন কর্পোরেশন। কর্মশালার ট্যাগলাইন ছিল, ‘মেয়েদের মূল্য বৃদ্ধির দিকে পদক্ষেপ’। এই কর্মশালার ব্যবস্থাপনা পরিচালক করা হয়েছিল হরজোৎ কওর ভামরাকে। তিনিই ওই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ।
বস্তিবাসী কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছিলেন হরজোৎ কওর ভামরা। এক ছাত্রী অভিযোগ করে, তাদের স্কুলে মেয়েদের শৌচাগার ভেঙ্গে গিয়েছে। প্রায়শই মেয়েদের শৌচাগারেই প্রবেশ করে ছেলেরা। ভামরা জবাব দেন, বাড়িতে তো ছেলে-মেয়েদের আলাদা শৌচাগার থাকে না। তিনি আরও বলেন, “সরকারের কাছ থেকে এত চাইতে থাকলে, সরকার কীভাবে কাজ করবে?”
बिहार: “सैनिटरी पैड दिया, तो मांगने लगेंगे निरोध”…
छात्रा के सवाल पर नीतीश के महिला IAS का विवादित बयान pic.twitter.com/NZOppJECUN
— News24 (@news24tvchannel) September 28, 2022
এরপরই ওই বস্তিবাসী ছাত্রী সরল মনে প্রশ্ন করেছিল, “সরকার কি ২০-৩০ টাকায় স্যানিটারি প্যাড দিতে পারে?” তার এই প্রশ্নের জবাবই কন্ডোম পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান ওই আইএএস অফিসার। ছাত্রীটি আইএএস অফিসারকে জানায় জনগণের ভোটেই তো সরকার গঠিত হয়। তাই ভাল শৌচাগার বা সস্তায় স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাবি সরকার ছাড়া আর কার কাছে জানাবে তারা? এর উত্তরে ভামরা বলেন, “এটা অত্যন্ত বোকামি। তাহলে ভোট দিও না। পাকিস্তানে চলে যাও। তুমি কি অর্থ এবং পরিষেবার জন্যই ভোট দেন?” ছাত্রীটি পাল্টা বলে, “আমি একজন ভারতীয়। আমি কেন পাকিস্তানে যাব?”
এই কথা কাটাকাটির মধ্যে ওই আইএএস অফিসার বলেন, “সরকারের কাছ থেকে কিছু নিতে হবে কেন? এই চিন্তাধারাটাই ভুল। নিজে কাজ করো। তোমাদের চিন্তাভাবনা বদলাতে হবে। তুমি ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চাও, সেই বিষয়ে তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকার তোমার জন্য সেটা করে দিতে পারে না। তুমি যেখানে আছ সেখানেই থাকতে চায়, নাকি আমি যেখানে আছি সেখানে থাকতে চাও?