Liquor Prohibition: ‘২৬ নভেম্বর মদ না ছোঁয়ার শপথ নেবে রাজ্য’, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
Bihar: বিয়েবাড়িতে মদের খোঁজে পুলিশের তল্লাশি প্রসঙ্গে নীতীশ কুমার বলেন, যাঁরা বাড়িতে মদ রাখছেন না, তাঁদের এ নিয়ে ভাবনাচিন্তার কোনও কারণই নেই।
পটনা: মদ নিষিদ্ধকরণ নীতি নিয়ে ফের কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বিহার। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানান, আগামী ২৬ নভেম্বর বিহারের মানুষ শপথ নেবেন, তাঁরা মদ ছুঁয়েও দেখবেন না। এই তালিকায় সমস্ত সরকারি কর্মচারীরাও থাকবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মদ নিষিদ্ধকরণ নীতিকে খুব কঠোরতার সঙ্গেই রাজ্যে বলবৎ করা হবে বলে জানান তিনি। কেউ এই আইন ভাঙার চেষ্টা করলে, তিনি যদি সরকারি কর্মচারীও হন, ছাড় নেই।
বিয়েবাড়িতে মদের খোঁজে পুলিশের তল্লাশি প্রসঙ্গে নীতীশ কুমার বলেন, যাঁরা বাড়িতে মদ রাখছেন না, তাঁদের এ নিয়ে ভাবনাচিন্তার কোনও কারণই নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “পুলিশের কাছে অভিযোগ এসেছে, বেশ কিছু বিয়ে বাড়িতে মদ রাখা হয়েছে। পুলিশ এই ধরনের খবর পেলেই ব্যবস্থা নেবে। যাঁরা এসবের সঙ্গে যুক্ত নন, তাঁদের ভয় পাওয়ারও কোনও কারণ নেই।”
যদিও এ নিয়ে রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি সরকারের তীব্র নিন্দা করে জানায়, পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার নাম করে বিভিন্ন বিয়ে বাড়িতে ঢুকে স্বেচ্ছাচারিতা করছে। আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদের স্ত্রী রাবড়ি দেবী এ সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো টুইট করেন।
রাবড়ির বিস্ফোরক টুইট, ‘বিহার পুলিশ সরাববন্দির নামে কোনও মহিলা পুলিশ কর্মী ছাড়াই বিয়ের কনের ঘরে ঢুকে পড়ছে। ঘরের পাশাপাশি তাঁদেরও তল্লাশি চালাচ্ছে। এটা অন্যায়। বিহারে কেন, কী ভাবে মদ ঢুকছে? তা নিয়ে কোনও তদন্ত তো বিহার সরকার করছে না। উল্টে সরকার মেয়েদের হয়রান করছে।’
बिहार पुलिस शराबबंदी के नाम पर बिना महिला पुलिसकर्मियों के दुल्हन के कमरों और कपड़ों की तलाशी ले रही है। यह निजता के अधिकार का उल्लंघन है।
बिहार में शराब कैसे व क्यों पहुँच रही है,कौन पहुँचा रहा है? उसकी जाँच और खोजबीन नहीं लेकिन उल्टा सनकी सरकार महिलाओं को ही परेशान कर रही है? pic.twitter.com/IfVWzHQQAE
— Rabri Devi (@RabriDeviRJD) November 22, 2021
সম্প্রতি বিহারের বেশ কিছু এলাকা থেকে বিষ মদ খেয়ে মৃত্যুর খবর আসছিল। গত কয়েকদিন ৪০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে বিষ মদ। বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ মনে করছেন, যেহেতু বিহারে মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তাই বেআইনিভাবে তৈরি ওই মদ পান করতে বাধ্য হচ্ছে সুরাপ্রেমীরা। আর তার থেকেই এই বিপত্তি।
২০১৬ সালে বিহারে মদ্যপানের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তা নীতীশ কুমারের আমলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে একটি। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে মদের জন্য ব্যয় করা অর্থ পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করা যেতে পারে। নীতিটি প্রাথমিকভাবে তাঁকে ভোটবাক্সে প্রচুর সুবিধা দিয়েছিল। বিশেষ করে বিহারে জাত-পাতের সীমানা পেরিয়ে তাঁর এই নীতি বিহারের মহিলাদের কাছে প্রচুর সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছিলেন।