Bihar Viral DM Viral Video: ট্যাঙ্ক আছে, জল নেই, সমস্যা খুঁজতে জেলাশাসক তরতরিয়ে উঠে গেলেন ৩০ ফুট উঁচু ট্যাঙ্কে!
Bihar Viral DM Viral Video: জেলাশাসক ধর্মেন্দ্র কুমারের কাছে আগেই অভিযোগ এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে গ্রামে ট্যাঙ্ক বানানো নিয়ে বিপুল দুর্নীতির। ওই গ্রামে যে জলের ট্য়াঙ্কটি তৈরি করা হয়েছে, তার গুণগত মানও অত্যন্ত খারাপ।
পটনা: খাতায় কলমে সরকারি প্রকল্পের অধীনে গ্রামে তৈরি হয়েছে জলের ট্যাঙ্ক। কিন্তু আখেরে লাভ কিছুই হয়নি। কল খুললে হাওয়া ছাড়া আর কিছু বের হয় না। আগের মতোই কয়েক কিলোমিটার হেঁটে জলাধার থেকে জল তুলে আনতে হচ্ছে মহিলাদের। অস্বস্তিকর গরমের মধ্যেই এমন জলসঙ্কট নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হয়েছিল প্রশাসনিক কর্তাদের, চিঠি দেওয়া হয়েছিল জেলাশাসককেও। সেই অভিযোগ পেয়েই গ্রামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু এ কী? বলা-কওয়া নেই, সটান উঠে পড়লেন জলের ট্যাঙ্কের উপরই!
বিহারের রোহতাসের হরিবংশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফেই সম্প্রতি ফের একবার জলের সমস্যা ও কষ্ট নিয়ে জেলাশাসক ধর্মেন্দ্র কুমারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। সেই অভিযোগপত্র পেয়েই চলতি সপ্তাহের বুধবার তিনি গ্রামে আসেন। কারোর সঙ্গে কোনও কথা না বলেই সোজা পৌঁছে যান জলের ট্যাঙ্কের কাছে। নিমেষের মধ্য়েই লোহার মই বেয়ে তরতরিয়ে উপরে উঠতে থাকেন তিনি। জেলাশাসকের এই কীর্তি দেখে রীতিমতো হকচকিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষী ও অন্যান্য আধিকারিকেরাও। বাধ্য হয়ে তাঁরাও ট্য়াঙ্কের গুণগত মান খতিয়ে দেখার জন্য় উপরে ওঠেন।
रोहतास डीएम धर्मेंद्र कुमार ने दिनारा प्रखंड में विभिन्न सरकारी योजनाओं का किया निरीक्षण। हरिवंशपुर पंचायत में निरीक्षण के दौरान नल-जल-योजना में मिली गड़बड़ी तो टंकी पर चढ़ करने लगे जांच, मचा हड़कंप। pic.twitter.com/1MDyffeamQ
— rajeshkumarojha (@rajeshrepoter) June 8, 2022
জানা গিয়েছে, জেলাশাসক ধর্মেন্দ্র কুমারের কাছে আগেই অভিযোগ এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে গ্রামে ট্যাঙ্ক বানানো নিয়ে বিপুল দুর্নীতির। ওই গ্রামে যে জলের ট্য়াঙ্কটি তৈরি করা হয়েছে, তার গুণগত মানও অত্যন্ত খারাপ। সেই কারণেই তিনি নিজে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি গ্রামে পরিদর্শনে আসবেন, সে কথাও জানানো হয়নি স্থানীয় প্রশাসনকে। সেই কারণেই হঠাৎ জেলাশাসককে দেখে চমকে যান তারা।
জেলাশাসক ধর্মেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, জলের ট্যাঙ্ক ও জল সরবরাহের পাইপের গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ। বিডিও সহ একাধিক আধিকারিকের কাছে এই বিষয়ে জবাবদিহিও চাওয়া হয়েছে। সরকারি প্রকল্পের কাজে যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও ধর্মেন্দ্র কুমার খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। রোহতাসে একটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিদ্যুৎ না থাকায় চিকিৎসক মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়েই রোগীদের চিকিৎসা করছিলেন। বিষয়টি জেলাশাসকের কাছে আসতেই তিনি তদন্তের নির্দেশ দেন।