‘এনআরসি অসম্পূর্ণ, হিন্দুদের সুবিচার বাকি’, বিতর্ক উসকে দিলেন অসমের বিজেপি নেতা

করিমগঞ্জে একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। সেখানেই তিনি বলেন, "আমরা বারাক ভ্যালির হিন্দুদের সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। প্রতীক হাজেলার জন্য এনআরসি অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে।"

'এনআরসি অসম্পূর্ণ, হিন্দুদের সুবিচার বাকি', বিতর্ক উসকে দিলেন অসমের বিজেপি নেতা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 25, 2020 | 3:32 PM

গুয়াহাটি: অসমে ফের হতে পারে এনআরসি (NRC), এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “রাজ্যে এনআরসি অসম্পূর্ণ রয়েছে, হিন্দুদের প্রতি সুবিচার এখনও বাকি।” প্রাক্তন রাজ্য সমন্বয়রক্ষক প্রতীক হাজেলা (Prateek Hajela)-র উপরই নয়া নাগরিকত্ব পঞ্জি অসম্পূর্ণ থাকার দোষ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বারাক ভ্যালির করিমগঞ্জে একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সেখানেই তিনি বলেন, “আমরা বারাক ভ্যালির হিন্দুদের সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। প্রতীক হাজেলার জন্য এনআরসি অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ কাজই আমরা করে ফেলেছি। তবে হিন্দুদের সুবিচার পাইয়ে দিতে আরও কিছু কাজ বাকি। হাজার হাজার মানুষ, যারা মা ভারতীর উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন, তারা এখনও ডিটেনশন ক্যাম্পে পড়ে রয়েছেন।”

বহু প্রতিবাদ-আন্দোলনের মাঝেই গত বছর অগস্ট মাসে অসমের নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হয়। প্রায় ৩.৩ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে ১৯.২২ লক্ষ মানুষ সেই নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়েন। তবে এই নাগরিক পঞ্জি নিয়ে খুশি হয়নি বিজেপি (BJP)। তারা জানিয়েছিলেন, বহু রিফিউজি মানুষ, যারা ১৯৭১ সালের আগেই বাংলাদেশ থেকে অসমে চলে এসেছিলেন, তাদের অনৈতিকভাবে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘ভিডিয়োয় পর্দাফাঁস’, কৃষি আইন নিয়ে কংগ্রেসকে পাল্টা আক্রমণ জে পি নাড্ডার

চলতি মাসের শুরুর দিকেই নতুন রাজ্য সমন্বয়রক্ষক হিতেশ দেবশর্মা (Hitesh Deb Sharma) গুয়াহাটি হাইকোর্টে (Guwahati High Court) নাগরিকপঞ্জির কাজ পুনরায় শুরু করার আবেদন জানান। তিনি আদালতে জানান, প্রয়োজনীয় নথি যাচাই করার কাজে গাফিলতির কারণেই ভুলবশত প্রায় ২.৭৭ লক্ষ অযোগ্য মানুষের নাম তালিকায় রয়ে গিয়েছে।

গত বছর অসমের নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হলেও তার পরবর্তী কাজগুলি বিভিন্ন সময়ে নানা কারণে আটকে যায়। চলতি বছরে কাজ শুরু হওয়ার আশায় জল ঢেলে দেয় করোনা ভাইরাস (Coronavirus) ও লকডাউন (Lockdown)। এনআরসির রাজ্য সমন্বয়রক্ষক হিতেশ দেবশর্মা জানিয়েছিলেন, করোনা ও বন্যার কারণে সরকারি কর্মীরা এতদিন ব্যস্ত ছিলেন। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেই ও সরকারি কাজকর্ম শুরু হলেই এনআরসির কাজও শুরু হবে৷ তবে এখনও শুরু হয়নি সেই কাজ।

আরও পড়ুন: সারা বিশ্বের নজর ভারতের কোভ্যাকসিনে! জানাল আইসিএমআর