ফুটবলার থেকে জঙ্গি, বারামুল্লায় এনকাউন্টারে খতম আমির সিরাজ
ফুটবল খেলার জন্য বাড়ি থেকে ২ জুলাই বের হয় আমির। তারপর আর খোঁজ মেলেনি। পরে জানা যায়, জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে সে।
বারামুল্লা: মামাবাড়ি থেকে ফুটবল খেলতে বেরিয়েছিল কলেজ পড়ুয়া আমির সিরাজ। আর বাড়ি ফেরা হয়নি। বেশ কিছুদিন খোঁজ চালানোর পর পরিবারের লোকজন জানতে পারে, জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed ) জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে আমির। বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে (Baramulla Encounter) মৃত্যু হল সেই প্রতিভাবান ফুটবলার।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিল আমির। কাশ্মীরের সোপোর (Sopore) অঞ্চলে আদিপোরায় (Adipora) তাঁর মামাবাড়ি। সেখানেই ফুটবল খেলার জন্য বাড়ি থেকে ২ জুলাই বের হয় আমির। তারপর আর খোঁজ মেলেনি। পরে জানা যায়, জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে সে। পূর্বে কোনও জঙ্গি যোগ না থাকলেও আদিপোরা এলাকায় এর আগেও বহু বাসিন্দাদের বিভিন্ন জঙ্গি সম্প্রদায়ে যোগ দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। একইভাবে আমিরও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে বলেই সন্দেহ পুলিসের।
গতকাল গোপন সূত্রে পুলিস জানতে পারে, বারামুল্লার ওয়ানিগাম পাইন (Wanigam Payeen) এলাকায় একটি বাড়িতে বেশ কিছু জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই বারামুল্লা পুলিস ও সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানরা এলাকায় যৌথ অভিযান চালায়। লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দিলেও তাঁরা গুলি চালাতে শুরু করে। এরপরই শুরু হয় এনকাউন্টার (Encounter)। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ওই এলাকা। দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিকেশ হয় দুই জঙ্গি।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিস সূত্র অনুযায়ী, মৃত দুই জঙ্গির মধ্যে একজনের নাম আবরার আলিয়াস লাঙ্গু, আদতে সে পাকিস্তানি (Pakistani)। মৃত অপরজন হল আমির সিরাজ, যে বিগত ছয় মাস ধরে নিখোঁজ ছিল। দুই জঙ্গিই সম্প্রতি এলাকায় নানা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। পুলিস জানায়, ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু বন্দুক ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। তদন্তের জন্য সেগুলি পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘এনআরসি অসম্পূর্ণ, হিন্দুদের সুবিচার বাকি’, বিতর্ক উসকে দিলেন অসমের বিজেপি নেতা