JDU-BJP: ‘জেডিইউ মুক্ত হবে বিহারও’, দাবি সুশীল মোদীর, ‘দিবাস্বপ্ন’ না দেখার পরামর্শ দিলেন নীতীশের ‘ডান হাত’

JDU-BJP: বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য় আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নীতীশ কুমারকে একইসঙ্গে টুইটবাণে বেঁধেন। তিনি লেখেন, "পশ্চিমবঙ্গের বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা অত্যন্ত বাজেভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নীতীশ কুমারও নিজের দলের অস্তিত্ব হারাতে দেখছেন।"

JDU-BJP: 'জেডিইউ মুক্ত হবে বিহারও', দাবি সুশীল মোদীর, 'দিবাস্বপ্ন' না দেখার পরামর্শ দিলেন নীতীশের 'ডান হাত'
নীতীশ কুমার-সুশীল মোদী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2022 | 11:21 AM

নয়া দিল্লি: নিজের চালই ভারী পড়ে গিয়েছে নীতীশ কুমারের উপরে। মণিপুরে বিজেপির সঙ্গে জোট ভাঙতেই দল বদল করেছেন জেডিইউ বিধায়করা। মণিপুরে জেডিইউয়ের সাতজন বিধায়কের মধ্যে পাঁচজনই শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির জোটে ভাঙনের বদলে নীতীশ কুমারই বিধায়ক খোয়ানোর পরই দুই দলের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা, তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিহারের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীই এবার টুইট করেই বলেন, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুরের মতো ধীরে ধীরে বিহারও জেডিইউ মুক্ত হবে। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নীতীশ কুমারকে একযোগে আক্রমণ করেন।

শুক্রবার জেডিইউ বিধায়কদের দলবদলের খবর সামনে আসার পরই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী তথা প্রাক্তন উপমুখ্য়মন্ত্রী সুশীল মোদী টুইট করে বলেন, “অরুণাচল প্রদেশের পর এবার মণিপুরও জেডিইউ মুক্ত। খুব তাড়াতাড়ি লালুজী বিহারকেও জেডিইউ মুক্ত করবেন।”

জেডিইউ জাতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং পাল্টা জবাব দিয়ে সুশীল মোদীকে বলেন, “সুশীল মোদীজী, আমি আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে অরুণাচল প্রদেশ ও মণিপুরে জেডিইউ বিজেপিকে হারিয়েই আসন জয় করেছিল। তাই জেডিইউ থেকে মুক্তি পাওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখা বন্ধ করুন। অরুণাচল প্রদেশে যা হয়েছিল, সেটা আপনারা জোটের শর্ত মেনে চলার কারণে কী হয়েছিল?”

পরবর্তী টুইটে তিনি আরও বলেন, “মণিপুরে বিজেপি কী নৈতিক আচরণ করছে, তাও সকলের সামনে রয়েছে। আপনাদের মনে থাকা উচিত যে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীজী ৪২টি সভা করেছিলেন, তারপরও মাত্র ৫৩ টি আসনে জয়লাভ করা সম্ভব হয়েছিল। ২০২৪ সালে দেশ জুমলাবাজি থেকে মুক্তি পাবে… শুধু অপেক্ষা করুন।”

অন্যদিকে, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য় আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নীতীশ কুমারকে একইসঙ্গে টুইটবাণে বেঁধেন। তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা অত্যন্ত বাজেভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নীতীশ কুমারও নিজের দলের অস্তিত্ব হারাতে দেখছেন। শুধু বিহার থেকেই নয়, বাকি রাজ্য থেকেও নিজেদের অস্তিত্ব হারাচ্ছে।”