Nitish Kumar: উপরাষ্ট্রপতি হোক নীতীশ, চেয়েছিল JD(U)-র একাংশই! বিস্ফোরক দাবি বিজেপি নেতার

BJP on Nitish Kumar: রাতারাতি সরকার বদলের পরই বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী বুধবার নীতীশ কুমার সম্পর্কে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন। তিনি জানান, নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের একাংশই চেয়েছিল যে, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যেন নীতীশ কুমারকে প্রার্থী করা হয়।

Nitish Kumar: উপরাষ্ট্রপতি হোক নীতীশ, চেয়েছিল JD(U)-র একাংশই! বিস্ফোরক দাবি বিজেপি নেতার
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর নীতীশ কুমার। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2022 | 7:43 AM

পটনা: বর্তমানে সকলের মুখেই চর্চায় একটি নাম। ফের একবার জোট বদলে বিহারে (Bihar) নতুন সরকার গড়েছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। ২০১৭ সালে যে আরজেডি-কংগ্রেসের হাত ছেড়ে তিনি বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন, সেই বিজেপিকে দূরে সরিয়েই ফের একবার পুরনো জোটসঙ্গীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন নীতীশ কুমার। কেন হঠাৎ এনডিএ (NDA) জোট থেকে বেরিয়ে এলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে একাধিক তত্ত্ব খাড়া করা হয়েছে। তবে অধিকাংশের মতেই, জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখার উচ্চাকাক্ষার জন্যই এনডিএ জোট ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন নীতীশ কুমার। সেই জল্পনাতেই বুধবার কার্যত শিলমোহর দিলেন বিজেপি নেতা তথা নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত সুশীল মোদী(Sushil Modi)। তিনি জানান, নীতীশ কুমারের দলের কয়েকজনই চেয়েছিলেন যে তাঁকে যেন উপরাষ্ট্রপতির (Vice President) পদ দেওয়া হয়।

রাতারাতি সরকার বদলের পরই বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী বুধবার নীতীশ কুমার সম্পর্কে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন। তিনি জানান, নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের একাংশই চেয়েছিল যে, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যেন নীতীশ কুমারকে প্রার্থী করা হয়। এর বদলে তিনি যেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন। যদিও জেডিইউয়ের একাংশের এই প্রস্তাবকে খারিজ করে দিয়েছিলেন বলেই জানান সুশীল মোদী।

যদিও জেডি(ইউ)-র তরফে সুশীল মোদীর এই সমস্ত দাবিই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, নীতীশ কুমার কোনওদিনই উপরাষ্ট্রপতি হতে চাননি। জোট ভাঙার পর মিথ্যা কথা রটাচ্ছে বিজেপি। বুধবার অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে নীতীশ কুমারও একই কথা জানান। তিনি বলেন, “জাতীয় রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার আমার কোনও ইচ্ছাই নেই। শুধুমাত্র দলকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি থাকি বা না থাকি, অন্তত সাধারণ মানুষকে তাদের নিজেদের কথা বলতে দেওয়া হোক। আমি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নই। প্রশ্নটা হল যিনি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন, তিনি কী ২০২৪-এও জিততে পারবেন।”