ভারভারা রাওকে ৫০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন নেওয়ার অনুমতি আদালতের
২০১৮-র অগস্ট মাস থেকে জেলে বন্দি ছিলেন কবি তথা সমাজকর্মী ভারভারা রাও (Varvara Rao)। আপাতত তিনি নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি।
মুম্বই: জামিনের জন্য ভারভারা রাওকে (Varvara Rao) টাকা দেওয়ার অনুমতি দিল বম্বে হাই কোর্ট। এলগার পরিষদ মামলায় (CourtElgar Parishad case) সম্প্রতি অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে ভীমা কোরেগাঁও মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ভারভারা রাওকে। তখন থেকে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানানো সত্ত্বেও তা খারিজ হয়ে যায়। আদালতে টাকা দিয়ে বন্ডে জামিন নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন ভারভারা রাও। সেই আর্জি এবার মেনে নিল আদালত।
কবি তথা সমাজকর্মী ভারভারা রাওকে অসুস্থতার কারণে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট। এবার সেই আদালত তাঁকে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নিতে বলেছে। বর্তমানে নানবতী হাসপাতালে ভর্তি ভারভারা রাও। দ্রুত জামিন পাওয়ার জন্য টাকা দিয়ে জামিন নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। সলভেন্ট শিওরিটিতে জামিন পাওয়ার প্রক্রিয়ায় সময় লাগছে বলে এমন আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
সোমবার বিচারপতি এসএস শিন্ডে, মনীশ পিটালের বেঞ্চ ভারভারা রাওয়ের এই মামলায় তাঁকে টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। টাকা দেওয়ার জন্য ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে তাঁকে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারভারা রাও টাকা দিয়ে জামিন নেওয়ার আবেদন জানান। সলভেন্ট শিওরিটিতে জামিন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে তাতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে।
ভীমা কোরেগাঁও মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। বন্দি অবস্থাতেও কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় কবি তথা সমাজকর্মী ভারভারা রাওকে। ২০১৮-র অগস্ট মাস থেকে জেলে বন্দি ছিলেন। আপাতত ছ’মাসের জন্য তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। ছ’মাস পরই তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। ভারভারা রাওয়ের জামিনে দেওয়া হয়েছে একাধিক শর্ত। জামিনের এই সময়কালে অর্থাৎ ছ’মাস মুম্বইতেই থাকতে হবে তাঁকে। তিনি শহর ছাড়তে পারবেন না। তাঁর পাসপোর্ট কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে জমা রাখতে হবে। এ ছাড়া এনআইএ ডাকলেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।
আরও পড়ুন: ‘বিয়ে করুন না হলে জেলে যান’ পকসো আইনে অভিযুক্তকে ‘বেনজির’ পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের
গত বছর ২৮ মে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে জেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তিন দিন পরে ফের জেলে নিয়ে আসা হয় বর্ষীয়ান এই কবি তথা সমাজকর্মীকে। এর আগে তিনি অসুস্থ থাকাকালীন তাঁর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন যে ভারভারা রাও প্রায় মৃত্যুশয্যায়। জেলের মধ্যে হ্যালুসিনেটও করছিলেন তিনি।