Kailash Mansarovar: মানস সরোবর যাওয়া সহজ হতে চলেছে, ভারত থেকেই সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে কৈলাস
Kailash Mansarovar: BRO-র ডায়মন্ড প্রজেক্টের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার বিমল গোস্বামী বলেন, "নাভিদাংয়ের KMVN হাট থেকে লিপুলেখ পাস পর্যন্ত রাস্তা তৈরির কাজ আমরা ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছি।" এই রাস্তাটির নাম 'কৈলাস ভিউ পয়েন্ট' রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পিথোরাগঢ়: কৈলাসে শিবের বাস! এমনই কথিত রয়েছে। তাই প্রতি বছরই পুণ্য অর্জনের লক্ষ্যে কৈলাস মানস সরোবরে (Kailash Mansarovar) যাত্রা করতেন বহু মানুষ। ভারত থেকে সরাসরি কৈলাস মানস সরোবর যাওয়ার রাস্তা নেই। চিন অধিকৃত তিব্বতের (Tibbet) মধ্য দিয়ে সেখানে যেতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই কৈলাস-মানস সরোবর যাওয়ার জন্য প্রচুর খরচ হয়। ফলে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে যেতে পারেন না। তারপর করোনা মহামারীর সময় কৈলাস যাত্রা স্থগিত করে দেয় বেজিং। এখনও সেটা চালু করেনি। ফলে আর্থিক ও শারীরিক প্রস্তুতি নেওয়া থাকলেও এখন আর কেউই কৈলাস যেতে পারছেন না। তবে কৈলাস যাওয়ার জন্য আর অন্য দেশের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করতে হবে না। এবার ভারতের ভূ-খণ্ডের মধ্য দিয়েই পৌঁছনো যাবে শিবের আবাসস্থল, কৈলাস। শুনতে অবাক লাগছে! বাস্তবে এমনই উদ্যোগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ভারত-চিন সীমান্ত দিয়ে তৈরি হচ্ছে কৈলাস মানস সরোবর পৌঁছনোর রাস্তা।
জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগঢ় জেলার নাভিদাং এলাকা দিয়ে তৈরি হচ্ছে কৈলাস মানস সরোবর যাওয়ার রাস্তা। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (BRO) এই রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। BRO-র তরফে জানানো হয়েছে, পিথোরাগঢ় জেলার নাভিদাং এলাকার KMVN হাট থেকে ভারত-চিন সীমান্তে লিপুলেখ পাস দিয়ে কৈলাস যাওয়ার রাস্তা তৈরি হচ্ছে। লিপুলেখ পাস দিয়ে সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে মাউন্ট কৈলাস। প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা তৈরির কাজ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী BRO।
BRO-র ডায়মন্ড প্রজেক্টের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার বিমল গোস্বামী বলেন, “নাভিদাংয়ের KMVN হাট থেকে লিপুলেখ পাস পর্যন্ত রাস্তা তৈরির কাজ আমরা ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছি।” গন্তব্যের কথা ভেবে এবং জনগণের আকর্ষণ বাড়াতে এই রাস্তাটির নাম ‘কৈলাস ভিউ পয়েন্ট’ রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভারত সরকারের হীরক প্রজেক্টের অধীনেই কৈলাস ভিউ পয়েন্ট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তা কাটিংয়ের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলেও জানান বিমল গোস্বামী।