BSF: পাকিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছিল ছোট্ট শিশু, BSF-এর মানবিক রূপকে কুর্নিশ জানাবেন আপনিও

BSF : সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তরফ থেকেই যোগাযোগ করা হয় পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সঙ্গে। তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত ৯ টা ৪৫ মিনিট। পাকিস্তানি রেঞ্জারদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তিন বছরের ওই ছোট্ট শিশুকে।

BSF: পাকিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছিল ছোট্ট শিশু, BSF-এর মানবিক রূপকে কুর্নিশ জানাবেন আপনিও
মানবিক বিএসএফ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 02, 2022 | 1:12 PM

নয়া দিল্লি : সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরা দেন তাঁরা। তাঁদের নজর এড়িয়ে দেশের সীমান্তে পা রাখার জো নেই কারও। তবে অনেক সময়ই ভুল করে সীমান্ত পার করে এ দেশে চলে আসেন অনেকে। এমন ক্ষেত্রে ভুল বশত যাঁরা অনুপ্রবেশ করে ফেলেন, তাঁদের জন্য অনেক সময়েই মানবিক দিক দিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা (Border Security Force)। শুক্রবার আবার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সেই মানবিক রূপের সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। পাকিস্তানের (Pakistan) দিক থেকে তিন বছর বয়সি এক ছোট্ট শিশু ভুল করে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে ভারতীয় জওয়ানরা আবার ওই তাকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে দিল।

ফিরোজপুর সেক্টরে ১৮২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা শুক্রবার সন্ধেয় টহল দিচ্ছিলেন ভারত – পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর। ঘড়ির কাঁটায় তখন সন্ধে ৭ টা ১৫ মিনিট। জওয়ানরা দেখতে পান, তিন বছর বয়সি এক ছোট্ট শিশু ভারতীয় ভূখণ্ডের ভিতরে ঘোরাফেরা করছে। পরে বোঝা যায়, সে পাকিস্তানের দিক থেকে এ দেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। এদিকে তিন বছরের ছোট্ট শিশুটিও নিজে থেকে কিছু বলতে পারছিল না। তবে জওয়ানরা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারেন, শিশুটি ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে চলে এসেছে।

তাই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তরফ থেকেই যোগাযোগ করা হয় পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সঙ্গে। তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত ৯ টা ৪৫ মিনিট। পাকিস্তানি রেঞ্জারদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তিন বছরের ওই ছোট্ট শিশুকে। বিএসএফের তরফে পরবর্তী সময়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ভুলবশত অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সবসময়ই মানবিক দিক থেকে বিষয়গুলি বিবেচনা করে থাকে।

উল্লেখ্য, ভারত – পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক বর্তমানে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেখান থেকে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।