Bombay High Court: প্রমাণ ছাড়া স্বামীকে অসচ্চরিত্র, মদ্যপ বলা নিষ্ঠুরতা: বম্বে হাইকোর্ট

Bombay High Court: স্বামীর মানহানি করা এবং প্রমাণ ছাড়া তাঁকে অসচ্চরিত্র এবং মদ্যপ বলা নিষ্ঠুরতার সমান। সম্প্রতি, পুনের এক দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত পারিবারিক আদালতের রায় বহাল রেখে এমনটাই জানিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট।

Bombay High Court: প্রমাণ ছাড়া স্বামীকে অসচ্চরিত্র, মদ্যপ বলা নিষ্ঠুরতা: বম্বে হাইকোর্ট
বম্বে হাইকোর্ট (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2022 | 4:23 PM

মুম্বই: স্বামীর মানহানি করা এবং প্রমাণ ছাড়া তাঁকে অসচ্চরিত্র এবং মদ্যপ বলা নিষ্ঠুরতার সমান। সম্প্রতি, পুনের এক দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত পারিবারিক আদালতের রায় বহাল রেখে এমনটাই জানিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। ২০০৫ সালের নভেম্বরে ওই দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছিল পারিবারিক আদালত। সম্প্রতি ৫০ বছর বয়সী ওই মহিলা সেই রায়কে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। বিচারপতি নিতিন জামদার এবং শর্মিলা দেশমুখের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

আবেদনকারীর স্বামী ছিলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর এক অবসরপ্রাপ্ত মেজর। মামলা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর আবেদনে ওই মহিলা দাবি করেছিলেন, তাঁর স্বামী একজন অসচ্চিত্রের ব্যক্তি এবং মদ্যপ ছিলেন। এই সকল দুষ্কর্মের কারণেই তিনি তাঁর দাম্পত্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু, ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, স্ত্রীর তাঁর চরিত্রের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক এবং মিথ্যা অভিযোগ করার ফলে সমাজে স্বামীর খ্যাতি নষ্ট হয়েছে। এটা নিষ্ঠুরতার সামিল। হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, নিজের বিবৃতি ছাড়া মহিলা তাঁর অভিযোগের অন্য কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।

তাই আদালত, ওই মহিলার অভিযোগ গ্রহণ করেনি। বরং, পারিবারিক আদালতের সামনে স্বামীর দেওয়া জবানবন্দির কথা উল্লেখ করে ডিভিশন বেঞ্চ। ওই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তা দাবি করেছিলেন, তাঁর স্ত্রী তাঁকে তাঁর সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। আদালত বলেছে, “নিষ্ঠুরতা এমন এক আচরণ, যা অন্য পক্ষকে এমন মানসিক যন্ত্রণা দেয় যে সেই পক্ষের অপর পক্ষের সঙ্গে বসবাস করা সম্ভব হয় না। এটা আইনের চোখে সুপ্রতিষ্ঠিত। বিবাদীর চরিত্রের সম্পর্কে অযৌক্তিক, মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ করা এবং তাঁকে একজন মদ্যপ ও অসচ্চিত্র বলার ফলে, সমাজে তাঁর মর্যাদার ক্ষতি হয়েছে।” এরপরই আদালত জানায়, এই বিষয়গুলি বিবেচনা করে বলা যেতে পারে, এই মামলায় বিবাহবিচ্ছেদই উপযুক্ত ছিল।