CBI probe into Assam firing: নেপথ্যে কোনও উস্কানি ছিল? অসমের গুলি চলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হেমন্ত বিশ্ব শর্মার

Hemant Biswa Sarma: বলা হয়েছিল, যাঁরা জমি হারাচ্ছেন, তাঁদের জন্য রাজ্যের জমি নীতি অনুযায়ী ২ একর জমি দেবে অসম সরকার। সংগঠনের প্রতিনিধিরা রাজিও হয়েছিলেন।

CBI probe into Assam firing: নেপথ্যে কোনও উস্কানি ছিল? অসমের গুলি চলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হেমন্ত বিশ্ব শর্মার
গুলি চলার ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হেমন্ত বিশ্ব শর্মার (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2021 | 6:37 PM

গুয়াহাটি : অসমের দারাং জেলায় চর অঞ্চলে অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পুলিশের গুলিতে দু’জন প্রতিবাদকারীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশি উচ্ছেদের পাল্টা প্রতিরোধ ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে প্রতিবাদকারীরা। তাতে ১১ জন পুলিশকর্মী জখম হন। এই নিয়ে এখন তোলপাড় হচ্ছে অসম তথা দিল্লির রাজনীতি। আর এরই মধ্যে ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমরা গোটা ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আমরা জানতে চাই প্রায় ১০ হাজার মানুষকে কারা উসকানি দিল? আমাদের সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছিল। তারা বলেছিল, উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ হবে।”

হেমন্ত বিশ্ব শর্মার কথায়, যে ২৭ জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুই – তিন জন মুসলিম ছিলেন। তাঁরাও হাসপাতালে ভরতি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, যাঁদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে, তাদের সংগঠনের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছিল। বলা হয়েছিল, যাঁরা জমি হারাচ্ছেন, তাঁদের জন্য রাজ্যের জমি নীতি অনুযায়ী ২ একর জমি দেবে অসম সরকার। সংগঠনের প্রতিনিধিরা রাজিও হয়েছিলেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল কয়েকদিন আগে থেকেই। অসম সরকারের তরফে অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদ করতে নতুন করে অভিযান শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারও এই অভিযান চালাতেই দরং জেলার চর অঞ্চলে হাজির হয় পুলিশ। ওই অঞ্চলের একটা বড় অংশ জুড়ে বসবাস করছে অনুপ্রবেশকারীরা। এদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার এমনই এক বসতি উচ্ছেদে অভিযান চালায় পুলিশ। হঠাৎই এলাকার মানুষ উচ্ছেদ অভিযানে আসা পুলিশ কে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। ১১ জন পুলিশ কর্মী পাথরের আঘাতে আহত হন বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে এরপর পুলিশের তরফেও গুলি ছোড়া হয়।সেই গুলির আঘাতে ২ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের দরং জেলার ঢলপুরের গরুখুঁটিতে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ। তখনই এই সংঘর্ষ বাঁধে।

ওদিনের ঘটনার প্রতিবাদে সংখ্যালঘু ছাত্র সংগঠনের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে তারা দাবি জানান, নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে সরকারকে। একইসঙ্গে তারা জানান, যদি সরকারের তরফে উচ্ছেদ করে দেওয়া পরিবারগুলিকে নতুন করে জমি না দেওয়া হয়, তবে নিহতদের দেহ ফেরত নেবে না তাদের পরিবার। এভাবেই প্রতীকী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।

অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অসম পুলিশের মারধরের যে ভিডিয়োটি জাতীয়স্তর অবধি চর্চিত হচ্ছে, সেটি গত ২০ সেপ্টেম্বরের বলে জানা গিয়েছে। ওই ব্যক্তি, যাকে পুলিশ অনুপ্রবেশকারী বলে অ্য়াখ্যা দিয়েছে, তিনি পুলিশকে উচ্ছেদের কাজে বাধা দিতেই তাঁর বুকে গুলি করা হয় এবং নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। সরকারের তরফে যে ফোটোগ্রাফারকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁকেও ওই ব্যক্তির বুকে লাথি মারতে দেখা যাচ্ছে ওই ভিডিয়োয়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতিই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা আগেই জানিয়েছেন যে, চর অঞ্চলগুলিকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে মুক্ত করার এই অভিযান চলবে।

আরও পড়ুন : Assam: উচ্ছেদ অভিযানে আরও ১ আন্দোলনকারীর মৃত্যুতে উত্তপ্ত গোটা অসম, ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক ছাত্র সংগঠনের