GST Compensation: অনুমোদন ৮৬,৯১২ কোটি টাকা, বকেয়া জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটালো কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ পেল কত?

GST Compensation: ২০২২ সালের ৩১ মে পর্যন্ত সমস্ত রাজ্যের প্রাপ্য জিএসটি ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই বাবদ মোট ৮৬,৯১২ কোটি টাকা অনুমোদন করা হল।

GST Compensation: অনুমোদন ৮৬,৯১২ কোটি টাকা, বকেয়া জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটালো কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ পেল কত?
ছবি সৌজন্যে : PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2022 | 8:47 PM

নয়া দিল্লি: ২০২২ সালের ৩১ মে পর্যন্ত সমস্ত রাজ্যের প্রাপ্য জিএসটি ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই বাবদ মোট ৮৬,৯১২ কোটি টাকা অনুমোদন করা হল। তবে, সরকারের জিএসটি ক্ষতিপূরণ তহবিলে মাত্র ২৫,০০০ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। বাকি টাকাটা সেস আদায় মুলতুবির কারণে যে অর্থ জমেছে সরকারে ভাঁড়ারে, তার থেকে মেটানো হবে। অর্থ মন্ত্রক বলেছে, রাজ্যগুলি যাতে চলতি আর্থিক বছরে সফলভাবে তাদের আর্থিক সংস্থানগুলি পরিচালনা করতে পারে এবং তাদের কর্মসূচিগুলি পরিচালনা করতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই ৮৬,৯১২ কোটি টাকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত রাজ্যগুলির প্রাপ্য জিএসটি ক্ষতিপূরণের পুরোটাই পরিশোধ করে দিল কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের যে অর্থ প্রাপ্য ছিল, তার সঙ্গে ফেব্রুয়ারি-মার্চ এবং এপ্রিল-মে এই দুই দ্বিমাসিক জিএসটি ক্ষতিপূরণের অর্থ একসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। সবথেকে বেশি অর্থ পাচ্ছে মহারাষ্ট্র, ১৪,১৪৫ কোটি টাকা। তারপর আছে তামিলনাড়ু (৯,৬০২ কোটি), উত্তরপ্রদেশ (৮,৮৭৪ কোটি), কর্নাটক (৮,৬৩৩ কোটি), দিল্লি (৮,০১২ কোটি)। পশ্চিমবঙ্গ পাচ্ছে ৬,৫৯১ কোটি টাকা।

২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ভারতে জিএসটি লাগু করা হয়েছিল। জিএসটি লাগু করার জন্য রাজ্যগুলির যে রাজস্বের ক্ষতি হবে, তা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০১৭ সালের জিএসটি আইন অনুসারে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের উপর সেস ধার্য করা হয়েছিল। ওই সংগৃহীত সেস জিএসটি ক্ষতিপূরণ তহবিলে জমা করা হয়েছিল।

২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে সময়মতোই রাজ্যগুলির দ্বি-মাসিক জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তারপরই সমস্যায় পড়েছিল কেন্দ্র। রাজ্যগুলির জন্য সংরক্ষিত রাজস্বের পরিমাণ ১৪ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েছিল। কিন্তু, একই সময়ে সেস সংগ্রহ একই অনুপাতে বাড়েনি। ফলে সংরক্ষিত রাজস্ব এবং প্রকৃত জিএসটি সংগ্রহের মধ্যে ব্যবধান তৈরি হয়েছিল। কোভিড-১৯ মহামারি এই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেস সংগ্রহের পরিমাণও কমে গিয়েছিল।

এই ব্যবধান মেটানোর জন্য, পরপর দুই অর্থ বর্ষে রাজ্যগুলির হয়ে বাজার থেকে যথাক্রমে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা এবং ১.৫৯ লক্ষ কোটি ধার নেওয়া হয়েছিল। সমস্ত রাজ্যই এই সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছিল। এছাড়া, এই জিএসটি ঘাটতি মেটাতে তহবিল থেকে রাজ্যগুলিকে নিয়মিত জিএসটি ক্ষতিপূরণও দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির সমন্বিত প্রচেষ্টায়, মোট মাসিক জিএসটি সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক।