করোনায় মৃতদের শেষকৃত্য করছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য বিশেষ ভাবনা কেন্দ্রের

বার করোনায় মৃত ব্যক্তিদের শেষকৃত্যের সঙ্গে যুক্ত কোভিড ফ্রন্টলাইন কর্মীদের বিমা সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবে সরকার।

করোনায় মৃতদের শেষকৃত্য করছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য বিশেষ ভাবনা কেন্দ্রের
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2021 | 8:41 AM

জ্যোতির্ময় রায়: ‘যুদ্ধক্ষেত্র’-এ লড়ছেন তাঁরা। নিজেদের জীবন-পরিবারের পরোয়া না করেই তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। সেজন্য চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার করোনায় মৃত ব্যক্তিদের শেষকৃত্যের সঙ্গে যুক্ত কোভিড ফ্রন্টলাইন কর্মীদের বিমা সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবে সরকার।

সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে, করোনায় মৃত ব্যক্তিদের শেষকৃত্য, দাহকার্যের সঙ্গে যুক্ত ফ্রন্টলাইন কর্মীদের বীমা সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তারা চিন্তা ভাবনা করছে। যদিও কেন্দ্র এই বিষয়টিকে ‘বিশেষ সঙ্কট’ হিসাবেই অভিহিত করেছে। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এদিন আদালতকে এমনই জানিয়েছেন।

বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এমআর শাহের অবকাশকালীন বেঞ্চে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের অন্যান্যদের জন্য চার লক্ষ টাকার অনুদান দেওয়ার আবেদনের বিষয়ে শুনানি হয়।

আইনজীবী গৌরব কুমার বনশল এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে বলেন, শ্মশানে কর্মরত মানুষরা কোনও বীমা সুরক্ষা ছাড়াই তো অতিমারি পরিস্থিতিতে সামনে থেকে কাজ করে চলেছেন। তিনি যোগ করেন, এই কাজে যুক্ত অনেক ব্যাক্তিই অতিমারি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এবং তাঁরাও মারা যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র কী ব্যবস্থা নেবে?

কেন্দ্রের তরফে বলতে ওঠেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি একে বলেছেন উভয় সঙ্কট হিসাবে বর্ণনা করেন। তিনি স্বীকার করে নেন, শ্মশানে কাজ করা এই কর্মী-সদস্যদের বীমা স্কিমের আওতায় আনা হয়নি। তবে সরকার এই দিকটি বিবেচনা করে দেখবে।

উল্লেখ্য, ‘প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা’-র আওতায় স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এবং করোনা সংক্রান্ত কাজের সময় দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু। এই প্রকল্পের অধীনে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মী-সহ যে জনস্বাস্থ্য কর্মীরা প্রত্যক্ষভাবে করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেন, তাঁদের চিকিৎসা ও দেখভালের সঙ্গে যুক্ত থাকেন এবং করোনার মাধ্যমে যাঁদের প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় পড়ছেন।

আরও পড়ুন: দেশজুড়ে শিশুদের টিকাকরণ শুরু হতে পারে কবে থেকে? জানালেন এইমসের ডিরেক্টর 

বর্তমানে, ২২ লক্ষ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বীমা প্রকল্পের আওতাভুক্ত রয়েছেন। শীর্ষ আদালত বলেছে ইউনিফর্ম ক্ষতিপূরণ প্রকল্প প্রয়োগ করা উচিত, যাতে করোনার বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করা সবাই বিমার আওতায় আসেন।