Netai CBI Probe: নেতাই ‘গণহত্যায়’ সাক্ষী ১১৫, কিন্তু কতজনকে গ্রেফতার? সব তথ্য জানাল কেন্দ্র
CBI Probe in Netai: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই ঘটনায় কতজনকে গ্রেফতার করেছে, কতজন সাক্ষী রয়েছে, কতজনের থেকে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে, সেই সব বিষয়ে জবাব চান তৃণমূল সাংসদ।

নয়া দিল্লি: বুধবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session)। আজ দ্বিতীয় দিন। এবার রাজ্যসভার সিবিআই (CBI) নিয়ে ইস্যু তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের রাজ্যসভার সাংসদ তথা সংসদের উচ্চকক্ষে দলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দু শেখর রায় বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন। প্রশ্ন তোলেন নেতাইয়ের (Netai Firing) ঘটনায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই ঘটনায় কতজনকে গ্রেফতার করেছে, কতজন সাক্ষী রয়েছে, কতজনের থেকে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে, সেই সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থেকে জবাব চান তিনি।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় সুখেন্দু রায়ের প্রশ্নের উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দর সিং। মন্ত্রী লিখিত জবাবে জানান, লালগড় থানার অধীনে নেতাইয়ে নয় জনের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে লিখিত জবাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নেতাই মামলায় মোট ১১৫ জন সাক্ষী রয়েছেন, এবং এখনও পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে মাত্র ২৬ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে শীতকালীন অধিবেশনের পর পর দুইদিন তৃণমূলের দুই সাংসদ লোকসভা ও রাজ্যসভায় সরব হলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে।
এর আগে, গতকাল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায় প্রশ্ন তুলেছিলেন সাংসদ বিধায়কদের বিরুদ্ধে গত পাঁচ বছরে কতগুলি কেস সিবিআই দাখিল করেছে? মালা রায়ের সেই প্রশ্নেরও বিস্তারিত উত্তর দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দর সিং। লিখিত জবাবে তিনি জানিয়েছিলেন দেশে শেষ পাঁচ বছরে সিবিআই ৫৬ জন বিধায়ক-সাংসদের বিরুদ্ধে কেস দাখিল রয়েছে। তার মধ্যে ২২টি মামলার চার্জশিট গঠন হয়েছে। সেই ৫৬টি মামলার তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি মামলাও।
উল্লেখ্য, রাজ্য রাজনীতিতে একটি অন্যতম চর্চিত ইস্যু হল নেতাইয়ের ঘটনা। ২০১১ সাল। বামেরা তখনও রাজ্যের মসনদে। সেই সময় লালগড়ের অনতিদূরে নেতাই গ্রামে নয় জনের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগ ছিল সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। রাজ্যে রাজনীতির পালাবদলের ক্ষেত্রে অন্যতম অনুঘটকের মতো কাজ করেছিল এই নেতাইয়ের ঘটনা। প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল সিআইডি। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই তদন্তভার যা সিবিআইয়ের হাতে।





