SKM to centre: কৃষকদের সব দাবি মেনে নেওয়া উচিৎ কেন্দ্রের, জানাল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা
Farmers: উল্লেখ্য, সোমবার, সংসদে লোকসভা ও রাজ্যসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করে সরকার। সেখানেই ধ্বনি ভোটে এই আইন পাশ হয়ে যায়। এই বিল নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভের মাঝেও মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যে এই বিল পাশ করে সরকার।
নয়া দিল্লি: চলতি সপ্তাহেই সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির সইয়ে পর আইন প্রত্যাহার আর কোনও সমস্যাও নেই। তবুও একাধিক ইস্যুতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। বৃহস্পতিবার, কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা কৃষকদের সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেন্দ্রের দেওয়া চাপের কারণেই এখনও তারা প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রে তাদেরকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে বকেয়া দাবিগুলি পূরণের চেষ্টা করছে বলেই জানিয়েছে কৃষকদের এই সংগঠন।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, সরকার যদি আন্দোলনের সময়ে মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও ফসল বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান নিয়ে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করলে তাঁরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে রাজি। বিবৃতিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, “কৃষকদের সঙ্গে কোনও রকমের কথা বার্তা না বলেই তাদেরকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বাধ্য করছে কেন্দ্র। কেন্দ্র তাদের দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে দীর্ঘদিনের একটি লড়াই শেষ হয়েছে। আন্দোলন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে প্রথমবার যুদ্ধে জিতেছে কৃষকরা।”
উল্লেখ্য, সোমবার, সংসদে লোকসভা ও রাজ্যসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করে সরকার। সেখানেই ধ্বনি ভোটে এই আইন পাশ হয়ে যায়। এই বিল নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভের মাঝেও মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যে এই বিল পাশ করে সরকার। অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী সাংসদরা (Opposition MPs) কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করলে দুপুর ১২টা অবধি লোকসভা স্থগিত করে দেওয়া হয়. পরে ফের অধিবেশন শুরু হলে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Narendra Singh Tomar) কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করেন এবং তা ধ্বনি ভোটে পাশ করানো হয়। রাজ্যসভায় খুবই সামান্য আলোচনার পরই পাশ হয় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল।
গত বছরের সেপ্টেম্বর সংসদে পাশ হওয়ার পর তিন কৃষি আইন তৈরি হয়েছিল। আর তারপর থেকেই কৃষকদের একটি অংশ বিক্ষোভ শুরু করেছিল। আইন পাশের বিরোধিতা করে দীর্ঘ এক বছর ধরে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কৃষকরা একাংশ। কেন্দ্রের তরফে একাধিকবার বিক্ষোভরত কৃষকদের এই আইনগুলির সুবিধার কথা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এরই মধ্যে গুরু নানকের জন্মজয়ন্তীতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।