Dengue Outbreak: ‘ভয়ঙ্কর’ ডেঙ্গু থাবা বসাচ্ছে ১১ রাজ্যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক পরামর্শ কেন্দ্রের
Centre Warns About Dengue Outbreak: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, অন্ধ্র প্রদেশ, গুজরাট, কর্নাটক, কেরল, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থান, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গনায় সেরোটাইপ-২ ডেঙ্গু ধরা পড়ছে।
নয়া দিল্লি: এক বা দুই রাজ্য়ে নয়, দেশজু়ড়ে প্রায় ১১টি রাজ্যে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু(Dengue)-র প্রকোপ। “অতি ভয়ঙ্কর” ধরনের এই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে এ বার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। দ্রুত রোগীর চিহ্নিতকরণ, জ্বরের রোগীদের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন তৈরি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ টেস্টিং কিট(Testing Kit), ওষুধ (Medicine) ও ব্লাড ব্যাঙ্কে পর্যাপ্ত রক্ত (Blood) সংগ্রহ করে রাখতে বলা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের তরফে যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়, তাতেই ১১টি রাজ্যে ডেঙ্গু নিয়ে যে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। যেই রাজ্য়গুলিতে দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে আসন্ন উৎসবের মরশুমে যাতে জমায়েত না করা হয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্য়াণ মন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানানো হয়, সেরোটাইপ-২ ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। এই সংক্রমণ অত্যন্ত জটিল। রাজ্যে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব়্যাপিড রেসপন্স টিম পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হেল্পলাইন চালু, মশা দমনের নানা প্রক্রিয়া ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু রোগী চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, অন্ধ্র প্রদেশ, গুজরাট, কর্নাটক, কেরল, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থান, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গনায় সেরোটাইপ-২ ডেঙ্গু ধরা পড়ছে। এর আগে অগস্ট মাসেও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এই রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। এরপর গত ১০ সেপ্টেম্বরও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
বিগত প্রায় এক মাস ধরেই অজানা জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে উত্তর প্রদেশ জুড়ে। ফিরোজাবাদ জেলায় গত দুই সপ্তাহেই রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই আবার শিশু। অজানা জ্বরে শিশু মৃত্যুর কারণ জানতেই কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছিল, তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই জানা গিয়েছে, “ডেঙ্গু হেমারোজিক ফিভার”-এই আক্রান্ত হচ্ছেন অধিকাংশ। এছাড়াও ম্যালেরিয়া ও স্ক্রাব টাইফাসের কারণেও জ্বর আসছে।
পাশাপাশি দিল্লিতেও স্ক্রাব টাইফাসের প্রকোপ দেখা গিয়েছে। আপাতত চাচা নেহেরু বাল চিকিৎসালয় ও দ্বারকার আকাশ হেলথকেয়ারে শিশুদের স্ক্রাব টাইফাসের চিকিৎসা করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্য়ে ৯০ শতাংশই শিশু। এখনও অবধি সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ না করায় অল্প ওষুধ দিয়েই চিকিৎসা চালানো হচ্ছে এবং সুস্থ হয়ে গেলে দু-তিনদিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ নিয়েও স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ ১৫টি রাজ্য, যেখানে সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি, সেখানে উৎসবের মরশুমের কথা চিন্তাভাবনা করে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। ১৫টি রাজ্য়ের ৭টি জেলাকে “উদ্বেগের কারণ” হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের বেশি। দেশের ৩৪টি জেলায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।