Personal Data Protection Bill: জলে গেল ৪ বছরের পরিশ্রম, সংশোধনের ঠেলায় ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল প্রত্যাহার কেন্দ্রের

Personal Data Protection Bill: কোনও সংস্থার থেকে যেকোনও ব্যক্তির তথ্য কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যাবে এবং সংস্থা ও সরকার কীভাবে ও কতটা তথ্য ব্য়বহার করবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছিল এই বিলে।

Personal Data Protection Bill: জলে গেল ৪ বছরের পরিশ্রম, সংশোধনের ঠেলায় ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল প্রত্যাহার কেন্দ্রের
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2022 | 11:45 AM

নয়া দিল্লি: দীর্ঘ চার বছরের খাটাখাটনি জলে গেল। ৮১ টি সংশোধনের প্রস্তাব আসতেই ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল প্রত্য়াহার করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। বিগত কয়েক বছর ধরে এই বিল নিয়ে বহু আলাপ-আলোচনা হলেও, শেষ অবধি সংসদীয় কমিটির তরফে একাধিক সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়ায়, বিলটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। তবে বিল প্রত্যাহার করলেও, শীঘ্রই নতুন কোনও আইনি পরিকাঠামো আনা হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

বুধবার সংসদে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব বিল প্রত্য়াহারের কথা ঘোষণা করে বলেন, “আমরা ব্য়ক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল প্রত্যাহার করে নিয়েছি কারণ বিলের ৯৯টি ধারার মধ্যে ৮১টিতেই সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১২টি বড় পরিবর্তনের প্রস্তাব। সেই কারণেই এই বিল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে এবং শীঘ্রই নতুন বিল পেশ করা হবে জনমতের মতামত গ্রহণের জন্য।”

তিনি বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই নতুন বিলের খসড়া তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছি। কাজ বেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এই বিলের খসড়া তৈরি হয়ে যাবে”। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জানিয়েছেন, এবারের বিল পেশের আগে বড় বড় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

কী বলা হয়েছিল এই বিলে?

কোনও সংস্থার থেকে যেকোনও ব্যক্তির তথ্য কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যাবে এবং সংস্থা ও সরকার কীভাবে ও কতটা তথ্য ব্য়বহার করবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছিল এই বিলে। তবে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর এই বিলের প্রস্তাবনা পাশ হওয়ার পর থেকেই বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, এই আইনের মাধ্যমে সরকার সাধারণ মানুষের ব্য়ক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তি দেখিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যক্তিগত, গোপনীয় তথ্য জানার চেষ্টা করবে।

শুধুমাত্র বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিই নয়, গুগল-ফেসবুকের মতো বড় তথ্য় প্রযুক্তি নির্ভর সংস্থাগুলিও এই বিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। বিলে সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে যে কড়া নজরদারির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল।

সূত্রের খবর, শীঘ্রই সাইবার সুরক্ষা ও গোপনীয়তা সংক্রান্ত একটি বিল তৈরি করা হতে পারে, যা এই বিলের বিকল্প। আগামী শীতকালিন অধিবেশনেই এই বিল পেশ করা হতে পারে।