Government hospital: ৫ দিন ধরে হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই, টর্চ জ্বালিয়ে চিকিৎসা করছেন চিকিৎসকরা
Chhatisgarh: জেলার অন্যতম সরকারি হাসপাতাল। শর্ট সার্কিটের জেরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। তারপর ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ হয়নি। ফলে টর্চ জ্বালিয়ে, মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে চিকিৎসা করছেন চিকিৎসকেরা।
বাস্তার: জেলার অন্যতম সরকারি হাসপাতাল। দুর্ঘটনা হোক বা অন্য কারণ হোক, স্থানীয় রোগীদের প্রথমে এই হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু, সেই সরকারি হাসপাতালে (Government hospital) নেই বিদ্যুৎ। শর্ট সার্কিটের জেরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। তারপর ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ হয়নি। ফলে টর্চ জ্বালিয়ে, মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে চিকিৎসা করছেন চিকিৎসকেরা। এমনই পরিস্থিতি ছত্তীশগঢ়ের (Chhatisgarh) বাস্তার জেলার এক সরকারি হাসপাতালের।
ছত্তীশগঢ়ের বাস্তার জেলার বাস্তানার ব্লকের সরকারি হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকার ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে শুক্রবার রাতে। বাস্তারের কিলেপাল এলাকায় একটি ট্রাক ও বাসের সংঘর্ষে ২ জনের মৃত্যু হয় এবং ১৮ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বাস্তার জেলার ওই সরকারি হাসপাতালে। তখনই দেখা যায়, হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। চিকিৎসকরা টর্চ, মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বেলে চিকিৎসা করছেন। তারপর শনিবারও সেই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি। গুরুতর অসুস্থদের ডিমারাপল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
৫ দিন ধরে হাসপাতালে কেবল বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন নয়, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সও যথাসময়ে অমিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, বাস্তানার ব্লকে এটি একমাত্র বড় হাসপাতাল। সংলগ্ন গ্রামবাসী দুর্ঘটনা থেকে যে কোনও চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু, গত ৫দিন ধরে হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।
যদিও চিত্রকূটের বিধায়ক রাজমান বেঞ্জামিন জানান, হাসপাতালে অবিলম্বে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ দফতরকে। আবার শর্ট সার্কিটে হাসপাতালে আগুন লেগে যাওয়ার জন্যই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল এবং অবিলম্বে সেটা মেরামত করার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পূর্ত দফতরের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের আধিকারিক অজয় কুমার টেমবুরনে। কিন্তু, আর কত সময় লাগবে? ৫ দিনেও মেরামত হল না? স্পষ্ট জবাব মেলেনি।
অন্যদিকে, স্থানীয় ব্লক মেডিক্যাল অফিসার ডা. অরিজিৎ চৌধুরী বলেন, বর্ষার সময় দেওয়াল ভিজে থাকার জন্যই শর্ট সার্কিট ঘটেছে। বিদ্যুৎ সংযোগের বোর্ডগুলি সারানোর জন্য এক মাস আগেই হাসপাতালের তরফে বিদ্যুৎ দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এবার হাসপাতালে জেনারেটরের দাবিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সবমিলিয়ে বলা যায়, চিঠির বেড়াজালেই এখনও আটকে হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা। যার ফল ভোগ করছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে হাসপাতালের রোগী-চিকিৎসকরা।