Chhattisgarh Murder: গায়ের রং কালো বলে খোঁটা দিত স্বামী, মুখ বন্ধ করাতে কুঠারের কোপ স্ত্রীর, রাগের বশে কেটে নিল যৌনাঙ্গও!
Chhattisgarh Murder: অনন্ত প্রায় সময়ই স্ত্রী সঙ্গীতাকে গায়ের রঙ নিয়ে কটাক্ষ করতেন। তাঁকে কুৎসিতও বলতেন। এই বিষয় নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে আগেও একাধিকবার বচসা হয়েছিল। রবিবার রাতেও একই বিষয় নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে বচসা শুরু হয়।
রায়পুর: গায়ের রং কালো বলে উঠতে বসতে খোঁটা দিত স্বামী। এই নিয়ে মনোমালিন্য, বচসাও লেগে থাকত রোজই। রবিবারও সামান্য বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বচসা হতেই, ফের গায়ের রঙ নিয়ে খোঁটা দিয়েছিলেন স্বামী। ব্যাস, মেজাজ হারিয়ে ঘরের কোণে পড়ে থাকা কুঠার নিয়েই স্বামীর উপরে কোপ বসালেন স্ত্রী। রাগের বশে কেটে নিলেন যৌনাঙ্গও। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ জেলায়। মঙ্গলবার পুলিশের তরফে জানানো হয়, স্বামীকে খুনের অভিযোগে সঙ্গীতা সোনওয়ানি নামক বছর ৩০-র এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিত্যদিন স্বামীর গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরেই রবিবার ওই মহিলা কুঠার দিয়ে তাঁর স্বামীকে খুন করেন। প্রথমে অন্য কেউ এসে খুন করে পালিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করলেও, শেষে পুলিশি জেরায় ওই মহিলা স্বীকার করে নেন যে তিনি নিজেই তাঁর স্বামীকে খুন করেছেন। সোমবারই অভিযুক্ত সঙ্গীতা সোনওয়ানিকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত অনন্ত সোনওয়ানির (৪০) দ্বিতীয় স্ত্রী সঙ্গীতা। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে সঙ্গীতাকে বিয়ে করেন তিনি। ছত্তীসগঢ়ের অমলেশ্বর গ্রামে থাকতেন তারা। আপাতভাবে সুখের সংসার মনে হলেও, অনন্ত প্রায় সময়ই স্ত্রী সঙ্গীতাকে গায়ের রং নিয়ে কটাক্ষ করতেন। তাঁকে কুৎসিতও বলতেন। এই বিষয় নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে আগেও একাধিকবার বচসা হয়েছিল। রবিবার রাতেও একই বিষয় নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে বচসা শুরু হয়। রাগের বশে সঙ্গীতা ঘরের কোণে পড়ে থাকা কুঠার তুলে নিয়ে স্বামীর শরীরে একের পর এক কোপ বসাতে থাকেন। অভিযোগ, স্বামীকে খুন করেই শান্ত হননি অভিযুক্ত। রাগে তাঁর যৌনাঙ্গও কেটে নেন।
পরে মাথা ঠাণ্ডা হতেই নিজেকে বাঁচানোর পরিকল্পনা কষেন অভিযুক্ত। পরের দিন ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের জানান, রাতের অন্ধকারে কেউ এসে তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, জেরার মুখে ভেঙে পড়েন সঙ্গীতা। যাবতীয় অপরাধ স্বীকার করে নেন তিনি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) সহ সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।