Hospital License Cancelled: জিভের বদলে পুরুষাঙ্গে অস্ত্রোপচার, হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল

Surgery: উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে বেসরকারি হাসপাতালে আড়াই বছরের এক বালকের তোতলামির চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন তার পরিবার। শিশুটির তোতলামি কাটাতে জিভে অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।

Hospital License Cancelled: জিভের বদলে পুরুষাঙ্গে অস্ত্রোপচার, হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 27, 2023 | 8:31 AM

বেরিলি: জিভে অস্ত্রোপচার করতে হাসপাতালে গিয়েছিল। চিকিৎসক ভুল করে অস্ত্রোপচার করেন গোপনাঙ্গে। আড়াই বছরের বালকের পুরুষাঙ্গের চামড়া কেটে দেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বেরিলিতে এক বেসরকারি হাসপাতালে। এই ঘটনার জেরে এবার হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করল যোগী সরকার। উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী (UP Deputy CM) ব্রজেশ পাঠক হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করার লাইসেন্স দিয়েছেন। অভিযুক্ত চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর নামে থানায় FIR করার ব্যাপারেও CMO-কে নির্দেশ দিয়েছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে বেসরকারি হাসপাতালে আড়াই বছরের এক বালকের তোতলামির চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন তার পরিবার। শিশুটির তোতলামি কাটাতে জিভে অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। সেই মোতাবেক গত ২৩ জন শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসক ভুলবশত শিশুটির জিভে অস্ত্রোপচার করার বদলে পুরুষাঙ্গের চামড়া কেটে দেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শিশুটির পরিবার। বিভিন্ন সংগঠনের তরফে হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসকের এই ভয়াবহ ভুলের খবর পেয়ে পরদিন অর্থাৎ ২৪ জুন, শনিবারই কড়া পদক্ষেপ করে যোগী প্রশাসন। চিকিৎসকের গাফিলতি রয়েছে কিনা খুঁজে বের করতে চিফ মেডিক্যাল অফিসার (CMO) ডা. বলবীর পাঠককে নির্দেশ দেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। তাঁর নির্দেশেই ডা.বলবীর সিংয়ের CMO-র নেতৃত্বে একটি প্যানেলও গঠিত হয়। তারপর ওই কমিটির সদস্যরা হাসপাতালে যান এবং অভিযুক্ত চিকিৎসক-সহ কর্মীদের বয়ান নেন। সেই বয়ানের ভিত্তিতেই এবার অভিযুক্ত চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। পাশাপাশি হাসপাতালের লাইসেন্সও বাতিল করা হল। ওই বালক, তার পরিবার ও হাসপাতালের কর্মীদের বয়ানের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।