Terrible: মৃতদেহকে স্নান করাতেন, পোশাক বদলে দিতেন; ১০ দিন ধরে নাতির দেহ আগলে বসে ঠাকুমা
Uttar Pradesh News: দুই সন্তানের জননী মিথিলেশের বড় মেয়ে ও স্বামীর বছর ছয়েক আগে মৃত্যু হয়। তাঁর স্বামীও মারা গিয়েছেন। ছোট মেয়ে লখিমপুর খেরিতে থাকেন। নাতি প্রিয়াংশু ঠাকুমার সঙ্গে থাকত। হঠাৎ করে কীভাবে প্রিয়াংশুর মৃত্যু হল, তা স্পষ্ট নয়।
বারাবাঁকি: কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে ভাইয়ের মৃতদেহ আগলে দিদির দীর্ঘদিন বসে থাকার ঘটনা আজও স্মৃতিতে অম্লান রয়েছে। এরপরেও অবশ্য বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গিয়েছে। কিন্তু, মৃতদেহকে স্নান করানো, তার জামা পাল্টে দেওয়ার ঘটনার কথা বোধহয় আগে শোনা যায়নি। এবার এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকির মোহিরপূর্বা এলাকা। ঘরের মধ্যেই ১০ দিন ধরে নাতির মৃতদেহের যত্ন করে গিয়েছেন ঠাকুমা। কেউ গুণাক্ষরেও টের পায়নি। শেষ পর্যন্ত দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। তারপর পুলিশ ওই বাড়ির ভিতর ঢুকতেই প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম প্রিয়াংশু (১৭)। বারাবাঁকির মোহিরপূর্বা এলাকাকর বাসিন্দা প্রিয়াংশু ঠাকুমার সঙ্গেই থাকত। রবিবার রাতে ঘরের ভিতর থেকেই তার পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রিয়াংশুর দেহের পাশেই বসেছিলেন তার ষাটোর্ধ্ব ঠাকুমা মিথিলেশ। তিনি জানিয়েছেন, ১০ দিন আগে তাঁর নাতির মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও কেউ কেন বিষয়টি জানতে পারল না, দেহের সৎকার হল না, তা স্পষ্ট নয়। বৃদ্ধার মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই সন্তানের জননী মিথিলেশের বড় মেয়ে ও স্বামীর বছর ছয়েক আগে মৃত্যু হয়। তাঁর স্বামীও মারা গিয়েছেন। ছোট মেয়ে লখিমপুর খেরিতে থাকেন। নাতি প্রিয়াংশু ঠাকুমার সঙ্গে থাকত। মিথিলেশদেবীর স্বামী সরকারি কর্মী ছিলেন। ফলে পেনশন পান মিথিলেশদেবী। সেই টাকা দিয়েই ঠাকুমা-নাতির চলত। হঠাৎ করে কীভাবে প্রিয়াংশুর মৃত্যু হল, তা স্পষ্ট নয়।
প্রতিবেশীরা জানান, গত ৩-৪ দিন ধরে প্রিয়াংশু ও মিথিলেশদেবীকে বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি। সম্প্রতি তাঁদের বাড়ির ভিতর থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। বাধ্য হয়ে রবিবার পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। তারপর রবিবার রাতে পুলিশ মিথিলেশদেবীর বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই উদ্ধার হয় প্রিয়াংশুর পচা-গলা দেহ। সেই সময় নাতির দেহের পাশেই বসেছিলেন ঠাকুমা। তিনিই পুলিশকে জানান, ১০ দিন আগে নাতির মৃত্যু হয়েছে। তবে তারপরেও তিনি নাতিকে স্নান করাতেন, জামা-কাপড় বদলে দিতেন। কেন তিনি নাতির মৃত্যুর খবর কাউকে দেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মিথিলেশদেবী মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নন বলে স্থানীয়দের দাবি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং প্রিয়াংশুর দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।