India-China Talk: ‘অবাস্তব ও অযৌক্তিক প্রস্তাব’, ভারতের ঘাড়েই বৈঠকের ব্যর্থতার দায় চাপাতে মরিয়া লাল ফৌজ
China's Claim on Failed India-China Talk: সূত্রের খবর, প্য়াংগং, গালওয়ান ও গোগরায় যে বাফার জ়োন তৈরি করা হয়েছে, ভারতের মতে সেই বাফার জ়োন দিয়ে সীমান্ত সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান হতে পারে না। উল্টোদিকে চিনের দাবি, হট স্প্রিং এলাকাতেও একইরকমভাবে বাফার জ়োন তৈরি করা হোক।
নয়া দিল্লি: পূর্ব লাদাখ নিয়ে এ বার পাল্টি খেল চিন(China)। রবিবারই ত্রয়োদশ দফায় মল্ডোয় মুখোমুখী বৈঠকে বসেছিল ভারত ও চিনের সেনাস্তরীয় প্রধানরা (India-China Commander Level Talk)। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (Line of Actual Control) শান্তি ফেরানো ও সংঘর্ষস্থলগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার। কিন্তু এ দিন সকালেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, ভারতের দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হয়নি চিন। ভারতের এই বিবৃতির পরই এ বার চিনের দাবি, যে প্রস্তাবগুলি রেখেছিল ভারতীয় সেনা, তা অযৌক্তিক ও অবাস্তব।
গত বছরের মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে দুই দেশের মধ্যে যে সংঘর্ষ বাধে, তারপর থেকেই অশান্তির পরিবেশ লাদাখ জুড়ে। বিগত এক বছরেরও বেশি সময়ে একাধিকবার সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে বৈঠকে বসলেও সম্পূর্ণরূপে সমাধান সূত্র মেলেনি।
সূত্রের খবর, প্য়াংগং, গালওয়ান ও গোগরায় যে বাফার জ়োন তৈরি করা হয়েছে, ভারতের মতে সেই বাফার জ়োন দিয়ে সীমান্ত সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান হতে পারে না। উল্টোদিকে চিনের দাবি, হট স্প্রিং এলাকাতেও একইরকমভাবে বাফার জ়োন তৈরি করা হোক। বলে রাখা ভাল, ৩ থেকে ১০ কিমি দীর্ঘ এই বাফার জ়োনগুলি তৈরির অর্থ হল ভারত এই অংশগুলিতে টহল দিতে পারবে না আগের মতো।
একইসঙ্গে দেপস্যাং ও দেমচকের মতো অংশগুলি নিয়েও আলোচনা করতে চাইছে না চিন। এরফলে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ দিন সকালেই ভারতীয় সেনার তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, “বৈঠক চলাকালীন ভারতের পক্ষ থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও তার সংলগ্ন সংঘর্ষস্থলগুলি নিয়ে সমাধানের জন্য একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হলেও চিনা পক্ষ সেই প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করে। পূর্ব লাদাখের বাকি থাকা সংঘর্ষস্থলগুলি নিয়ে আলোচনায় কোনও সমাধান সূত্র না মেলায় এই আলোচনাকে ব্যর্থ বলেই গণ্য করা হচ্ছে।” বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, রবিবারের আলোচনা ব্যর্থ হলেও দুই দেশই নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা ও পূর্ব লাদাখে শান্তি বজায় রাখতে সহমত হয়েছে।
এরপরই পাল্টা অভিযোগ আনে চিন। তাদের দাবি, ভারত এমন কিছু অযৌক্তিক ও অবাস্তব দাবি করেছে, যার জেরে লাদাখে স্থিতাবস্থা ফেরানোর আলোচনা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। পিপলস লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র জানান, চিন সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংকল্পে দৃঢ়। পরিস্থিতিকে ভুল যাচাই করা এড়ানো উচিত ভারতের এবং দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ভারত-চিন সীমান্তে যে স্থিতাবস্থা ফেরানো হয়েছে, তা মাথায় রাখা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, “দুই দেশ ও তার সামরিক বাহিনীর মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, ভারতের তা মেনে চলা উচিত। একইসঙ্গে চিনের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার চেষ্টা করা উচিত।”
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমন অভিযানে শহিদ এক সেনা অফিসার সহ পাঁচ জওয়ান