Uttarakhand: লক্ষ্য ভগবান শিবের সঙ্গে বিয়ে! ভারত-চিন সীমান্তে অবৈধ বসবাস ‘দেবী পার্বতীর’
ভগবান শিবকে বিবাহ করার লক্ষ্যে উত্তরাখণ্ডের পিথোরগঢ় জেলার ইন্দো-চিন সীমান্তবর্তী নাভিধং এলাকায় শিবির গেড়েছেন লখনউ-এর এক মহিলা। নিজেকে দেবী পার্বতী বলে দাবি করা ওই মহিলাকে নিয়ে দারুণ সমস্যায় পড়েছে পুলিশ।
পিথোরগঢ়: মহা সমস্যায় পড়েছেন উত্তরাখণ্ডের পিথোরগঢ় জেলার পুলিশ। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ইন্দো-চিন সীমান্তবর্তী নাভিধং এলাকায় শিবির গেড়েছেন লখনউ-এর এক মহিলা। ইন্দো-চিন সীমান্তবর্তী বলে জায়গাটি সংরক্ষিত এলাকা। সেখানে যেতে গেলে বিশেষ অনুমতি লাগে। ওই মহিলার অনুমতির মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও, তিনি সেখান থেকে নেমে আসতে নারাজ। পুলিশের একটি দল গিয়েও তাঁকে ফিরিয়ে আনতে পারেনি। কিন্তু, কেন ওই এলাকা ছাড়তে রাজি হচ্ছেন না তিনি? এক অদ্ভুত কারণ দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, তিনি দেবী পার্বতীর অবতার। কৈলাস পাহাড়ে নিবাসী ভগবান শিব-কে তিনি বিবাহ করতে চান!
পিথোরগঢ়ের পুলিশ সুপার লোকেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ওই মহিলার নাম হরমিন্দর কউর। তিনি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের আলিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। ধরচুলার মহকুমা শাসকের কাছ থেকে ১৫ দিনের অনুমতি নিয়ে তিনি গুঞ্জির নাভিধং এলাকায় গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা। গত ২৫ মে, তাঁদের সেখানে থাকার অনুমতির মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তারপরও মা-মেয়ে ওই সংরক্ষিত এলাকা ছাড়তে অস্বীকার করেছেন।
ওই পুলিশ কর্তা আরও জানিয়েছেন, গুঞ্জি থেকে তাঁদের নামিয়ে আনার জন্য ধারাচুলা থেকে তিন পুলিশ সদস্যের একটি দলকে পাঠানো হয়েছিল। সেই দলে ছিলেন এক ইন্সপেক্টর এবং দুই সাব-ইন্সপেক্টর। কিন্তু, তাঁদের খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। হরমিন্দর কউর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভগবান শিব-কে বিবাহ না করে তিনি নীচে নামবেন না। এমনকি, পুলিশ জোর করে তাদের নীচে নামানোর চেষ্টা করলে, ওই মহিলা আত্মঘাতী হওয়ার হুমকিও দেন বলে দাবি পুলিশের।
এই অবস্থায়, আরও বড় একটি দল পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। শীঘ্রই, অন্তত ১২ সদস্যের একটি পুলিশি দল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন এসপি লোকেন্দ্র সিং। সংরক্ষিত এলাকা থেকে যদি হরমিন্দর কউর এবং তাঁর মা অন্য কোথাও চলে যান, তাহলে বিপদ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ বিভাগ। তবে, ওই মহিলার কোন অপরাধমূলক উদ্দেশ্য নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। এসপি লোকেন্দ্র সিং বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওই মহিলা মানসিকভাবে স্থিতিশীল নন। তিনি নিজেকে দেবী পার্বতীর অবতার দাবি করেছেন এবং তিনি বলেছেন ভগবান শিবকে বিয়ে করতেই তিনি এখানে এসেছেন।’
প্রসঙ্গত, কৈলাস-মানস সরোবর যাওয়ার রাস্তাতেই পরে গুঞ্জি। আর এই গুঞ্জিতেই অবস্থিত নাভিধং মন্দির। তিব্বত সীমান্ত থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গুঞ্জিতেই মানস-কৈলাস তীর্থযাত্রীদের ভারতীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত শেষ শিবিরটি অবস্থিত। তীর্থযাত্রীদের অনেকেই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই এলাকায় বিশ্রাম নেন। এখান থেকে ওম পর্বতও দেখা যায়। পুরাণ অনুযায়ী কৈলাস পাহাড়েই বাস করেন ভগবান শিব। সেই পাহাড়ে যাওয়ার রাস্তাতেই বসে আছেন, নিজেকে দেবী পার্বতীর অবতার বলে দাবি করা হরমিন্দর কউর