Hyderabad Gangrape: যে গাড়িতে গণধর্ষিতা হয়েছিল হায়দরাবাদে নাবালিকা, সেই মার্জিডিজ বিধায়কেরই, জানাচ্ছে সূত্র

Jubilee Hills: গণধর্ষণে অভিযুক্তরা সকলেই রাজনৈতিক প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তেলঙ্গানার এক বিধায়কের ছেলেও অভিযুক্তদের দলে রয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, বিধায়ক পুত্র ধর্ষণের সময় সেখানে ছিলেন না।

Hyderabad Gangrape: যে গাড়িতে গণধর্ষিতা হয়েছিল হায়দরাবাদে নাবালিকা, সেই মার্জিডিজ বিধায়কেরই, জানাচ্ছে সূত্র
এই গাড়ির ভিতর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 03, 2022 | 8:51 PM

হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে গাড়ির মধ্যে ১৭ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক দল যুবকের বিরুদ্ধে। হায়দরাবাদের ওই অভিজাত এলাকার এখটি পাবে পার্টি করতে গিয়েছিলেন ওই নাবালিকা। সেখানেই অভিযুক্তদের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নাবালিকাকে গাড়ির মধ্যে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। যে মার্সিডিজ গাড়ির মধ্যে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই গাড়িটি বিধায়কের বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। ওই বিধায়কের ছেলেও এই গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণের ঘটনার আগে গাড়ি থেকে নেমে যায় বিধায়কের ছেলে। এই ঘটনায় অপর এক মন্ত্রীর নাতি ও ওয়াকফ বোর্ডের সদস্যের জড়িত থাকারও অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ ব্য়াপারে কিছু জানানো হয়নি পুলিশের তরফে। অন্য দিকে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে থানায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।

পাব ও আশপাশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, চার জনের সঙ্গে বেরচ্ছে ওই নাবালিকা কিশোরী। শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। গণধর্ষণে অভিযুক্তরা সকলেই রাজনৈতিক প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তেলঙ্গানার এক বিধায়কের ছেলেও অভিযুক্তদের দলে রয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, বিধায়ক পুত্র ধর্ষণের সময় সেখানে ছিলেন না। আমেরিকাগামী কাকাকে বিমানবন্দরে ছাড়তে চলে গিয়েছিলেন তিনি। বিধায়কের পরিবারের তরফেও দাবি করা হয়েছে, মাঝরাস্তা থেকে ভাইয়ের গাড়িতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত বিধায়কের ছেলে।

শনিবার হায়দরাবাদের অভিজাত এলাকা জুবিলি হিলসের একটি পাবে পার্টি করতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় অভিযুক্তদের। বাড়ি ফেরার সময় অভিযুক্তরা তাকে গাড়ি করে বাড়িতে নামিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। সেই মতো অভিযুক্তদের মার্সিডিস গাড়িতে ওঠে ১৭ বছরের কিশোরী। সেই গাড়িতে তিন-চার ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে কিশোরী। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ি যাওয়ার নাম করে অভিযুক্তরা কিশোরীকে নির্জন অন্ধকার জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানেই অভিযুক্তরা পালা করে গণধর্ষণ করে তাকে।

যদিও বাড়ি এসে প্রথমে ধর্ষণের কথা জানায়নি ওই কিশোরী। কিন্তু তার ঘাড়ে আঘাত দেখে সন্দেহ হয় তার পরিবারের লোকের। তখন নির্যাতিতা জানিয়েছিল, কয়েক জন যুবক পার্টির পর তাকে শ্লীলতাহানি করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করা হয়। এর পর নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। ভরসা কেন্দ্রে মহিলা অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ করে নির্যাতিতাকে। সে সময়ই গণধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। নির্যাতিতা কিশোরী অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে সমর্থ হননি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনা নিয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৭৬ নম্বর ধারা ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই গণধর্ষণের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।