Drugs Recovery: সাড়ে ৩ কেজি ওজন হুইস্কির দুটি বোতলের! সিল কাটতেই ভিতর থেকে যা পাওয়া গেল, চোখ কপালে গোয়েন্দাদের
Drugs Recovery: তাঁর ব্যাগ থেকে দুটি এক লিটারে বোতল উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ওজন মেপে দেখা যায়, দুটি বোতলের ওজন সাড়ে তিন কেজি।
মুম্বই: গোপনে খবর মিলেছিল আগেই, সেই অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছিল বিমানবন্দরে নজরদারিও। লাগাতার তল্লাশির মাঝেই এক ব্যক্তির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় দুটি হুইস্কির বোতল। বিমানবন্দরের কাস্টমস আধিকারিকরা প্রশ্ন করতেই ওই ব্যক্তির যুক্তি, মদ নিয়ে যাওয়া কি নিষিদ্ধ? বেশ কিছুক্ষণ তর্ক চলার পর ওই ব্যক্তিকে ছেড়েই দেওয়া হচ্ছিল, তখনই এক আধিকারিক পথ আটকান। মদের বোতবল হাতে নিতেই সন্দেহ হয়, ওজন করে দেখা যায়, দুই বোতল হুইস্কির ওজন সাড়ে তিন কেজি। ব্যাস, তখনই বোঝা যায়, বোতলের ভিতরেই লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছে অন্য কিছু। তদন্ত ও জেরায় জানা যায়, হুইস্কির বোতলের ভিতরে মিশিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কোকেন। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ২০ কোটি টাকা! বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।
আকছাড় বিমানবন্দরে বিভিন্ন নিষিদ্ধ পণ্য পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েন চোরাচালানকারীরা। কিন্তু মদের বোতলের ভিতরে মিশিয়ে এভাবে মাদক পাচার করার ঘটনায় হতবাক পুলিশও। জানা গিয়েছে, ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্সের কাছে আগেই খবর এসেছিল, মুম্বই বিমানবন্দর দিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার হতে পারে। সেই তথ্য় অনুযায়ীই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। বৃহস্পতিবার ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। জানা যায়, বৃহস্পতিবারই লাগেস থেকে আদিস আবাবা হয়ে মুম্বই এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর ব্যাগ থেকে দুটি এক লিটারে বোতল উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ওজন মেপে দেখা যায়, দুটি বোতলের ওজন সাড়ে তিন কেজি। এতেই সন্দেহ হয় ডিআরআই আধিকারিকদের।
পরে ড্রাগ ডিটেকশন কিট দিয়ে ওই বোতলের ভিতরে ভরা পানীয় পরীক্ষা করা হলে দেখা যায়, হুইস্কির মধ্যে মেশানো রয়েছে কোকেন। জানা গিয়েছে, দুটি বোতলের মধ্যে সাড়ে তিন কেজি কোকেন মিশিয়ে পাচার করা হচ্ছিল। হুইস্কির ভিতরে মাদক মিশিয়ে রাখায়, তা আপাতচোখে ধরা সম্ভব নয়। ডিআরআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে এই নিষিদ্ধ মাদকের দাম ২০ কোটি টাকারও বেশি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।