AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ভালই তো লাগছে’, জালিয়ানওয়ালাবাগের নতুন রূপের প্রশংসা ক্যাপ্টেনের, অস্বস্তিতে কংগ্রেস

মুখ্যমন্ত্রীকে জালিয়ানওয়ালাবাগ সংস্কার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি দলের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন সুরে বলেন, "আমি জানিনা কী সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাার দেখে বেশ ভালই লাগল।"

'ভালই তো লাগছে', জালিয়ানওয়ালাবাগের  নতুন রূপের প্রশংসা ক্যাপ্টেনের, অস্বস্তিতে কংগ্রেস
সংস্কার হওয়া জালিয়ানওয়ালাবাগ ঘুরে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2021 | 8:16 AM
Share

নয়া দিল্লি: জেনারেল ডায়ার যে পথ দিয়ে ঢুকেছিলেন এবং গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই পথের রূপই বদলে গিয়েছে সম্পূর্ণ। ঐতিহাসিক জালিয়ানওয়ালাবাগের সংস্কার করা হয়েছে সম্প্রতিই। গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জালিয়ানওয়ালাবাগের নতুন রূপের উন্মোচন করেছেন। তবে ঐতিহাসিক স্থানের সংস্কার করা নয়া রূপ দেখে খুশি নয় বিরোধী থেকে সাধারণ মানুষ। যখন বিরোধীরা সবাই সমালোচনায় ব্যস্ত, সেই সময়ই উল্টো মন্তব্য় পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। সংস্কার করা নতুন রূপ দেখতে বেশ ভাল লাগছে, এমনটাই জানিয়েছেন সিধু। আর এই মন্তব্য় ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা দলের প্রধান নভজ্যোত সিং সিধুর সঙ্গে নানা বিষয়ে বচসায় জড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। সিধুর সঙ্গে তাঁর বিরোধ দলের কাছে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছে। তবে এ বার সম্পূর্ণরূপে দলের অবস্থান থেকে সরে এসে ভিন্ন মত রাখলেন। জালিওয়ালাবাগের নতুন রূপ দেখেই যেখানে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি দলের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন সুরে বলেন, “আমি জানিনা কী সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাার দেখে বেশ ভালই লাগল।”

জালিয়ানওয়ালাবাগের প্রবেশপথের ছবি দেখেই রাহুল গান্ধী টুইটে লেখেন, “জালিয়ানওয়ালাবাগে শহিদদের এভাবে অপমান একমাত্র তারাই করতে পারেন, যারা শহিদ হওয়ার অর্থটুকু বোঝেন না। শহিদদের এই ধরনের অপমান আমি সহ্য করব না কোনও মতেই। এই কাজের বিরোধিতা জানাচ্ছি আমরা।”

কংগ্রেস ছাড়াও সিপিআইএম ও শিবসেনার তরফেও সংস্কারের বিরোধিতা করা হয়েছে। সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, “যারা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে দূরে থেকেছেন, তারাই কেবল এইধরনের বিতর্কিত কাজ করতে পারেন।” অন্যদিকে, শিবসেনা সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী টুইটে লেখেন, “এতিহাসিক জায়গাগুলির সৌন্দর্যায়ন ও সংস্কারের নামে যে ধরনের কাজ করা হচ্ছে, তাতে ইতিহাসকেই বিনষ্ট করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

জালিয়ানওয়ালাবাগের সংস্কার নিয়ে কংগ্রেস বিরোধিতা করলেও প্রশ্ন উঠেছে পঞ্জাব সরকারের ভূমিকা নিয়েও। কী ধরনের সংস্কার করা হবে, তা না দেখেই কেন সংস্কারের অনুমতি দিয়েছিল। সংস্কারকাজ চলাকালীনও  রাজ্যের কংগ্রেস সরকার বিরোধিতা করেনি কেন। এমনিতেই সিধু বনাম অমরিন্দর সিংয়ের বিরোধ নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই চর্চায় পঞ্জাব। কাশ্মীরকে আলাদা দেশ বলে যেমন বিতর্ক শুরু করেছিলেন নভজ্য়োত সিং সিধুর পরামর্শদাতা। ওই মন্তব্য ঘিরেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “যে বিষয়ে জানা নেই, তা নিয়ে মুখ না খোলাই ভাল”। চাপে পড়ে পদত্য়াগ করেন সিধুর পরামর্শদাতা। এরপরই সিধুর ঘনিষ্ট নেতা-মন্ত্রীরা মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি করেন। যদিও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নেতৃৃত্ব দেবেন অমরিন্দর সিংই।  আরও পড়ুন: স্কুল খুলতেই উর্ধ্বমুখী শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার, ফের কি অনলাইন ক্লাসেই বন্দি হবে পড়ুয়ারা?